মঙ্গলবার, ১২ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

১০ ঘণ্টায় ৯০০ টন গৃহস্থালি বর্জ্যরে সমস্যা সমাধান করলেন ইউএনও

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

সদর উপজেলার চার ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষের বাড়িঘরের মাসে প্রায় ৯০০ টন বর্জ্য কোথায় ফেলা হবে এ নিয়ে চরম সংকট তৈরি হয়েছিল। সাত দিন ধরে উপজেলার কাশীপুর, কুতুবপুর, ফতুল্লা ও এনায়েতনগর ইউনিয়নে বর্জ্য সংগ্রহ বন্ধ। এ কদিনে বর্জ্য পচে দুর্গন্ধে সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। এমন অভিযোগ পেয়ে মাত্র ১০ ঘণ্টার মধ্যে ময়লা ফেলার জায়গা নির্ধারণ করে দিয়ে সমস্যা সমাধান করে দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফা জহুরা শিউলি। ঘটনা জানিয়ে গৃহস্থালি বর্জ্য সংগ্রহের দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ফতুল্লার সস্তাপুরের বাসিন্দা মো. আনিসুজ্জামান পবন জানান, সস্তাপুরের ৮০ শতাংশ জায়গার ওপর মালিকের অনুমতিক্রমে সদর উপজেলার প্রায় চার ইউনিয়নের গৃহস্থালি বর্জ্য সংগ্রহ করে ফেলা হতো। কিন্তু ৩ অক্টোবর থেকে হঠাৎ পরিবেশ অধিদফতর সেখানে ময়লা ফেলা বন্ধ করে দেয়। এতে সাত দিন ধরে ময়লা সংগ্রহ কার্যক্রম বন্ধ ছিল। ফলে বাড়িঘরগুলোয় ময়লা জমে পচা দুর্গন্ধ বের হতে থাকে। একপর্যায়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। বিষয়টি রবিবার বিকালে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফা জহুরাকে জানানো হয়। পরে গতকাল বেলা ১১টায় তিনি সস্তাপুরে যেখানে ময়লা ফেলা হতো সেখানে পরিদর্শনে যান। সেখানে পরিবেশ অধিদফতরের সংশ্লিষ্টদের ডেকে ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা নেই এবং ময়লা ফেলতে না দিলে চরম সংকট সৃষ্টি হবে এ কথা বোঝাতে সক্ষম হন। পরবর্তীতে ফের ওই স্থানে ময়লা ফেলার অস্থায়ী নির্দেশনা দিয়ে পুনরায় ময়লা ফেলা কার্যক্রম চালু করেন।

 এতে হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন চার ইউনিয়নের লক্ষাধিক বাসিন্দা। জানতে চাইলে গতকাল সন্ধ্যায় নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফা জহুরা বলেন, ‘গৃহস্থালি বর্জ্য বিষয়টি জটিলতা জানতে পেরে আমি নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ স্যারকে জানাই। তাঁর নির্দেশনা পেয়ে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নিয়ে ফের যথাযথ স্থানে ময়লা ফেলার ব্যবস্থা করা হয়। এতে চার ইউনিয়নে কয়েক দিন ধরে জমে থাকা গৃহস্থালি ময়লা সমস্যা সমাধান হতে শুরু করেছে।’

সর্বশেষ খবর