শনিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

খালে বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার জলাবদ্ধ ৬০০ বিঘা জমি

নাটোর প্রতিনিধি

খালে বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার জলাবদ্ধ ৬০০ বিঘা জমি

নাটোরের বড়াইগ্রামের সরিষাহাট গ্রামে খালে বাঁধ -বাংলাদেশ প্রতিদিন

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার সরিষাহাটে বিএডিসির খনন করা খালে বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার করছেন প্রভাবশালীরা। এতে বিলের পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় প্রায় ৬০০ বিঘা জমিতে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। চলতি রবি মৌসুমে চাষাবাদ নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন চাষিরা। বাঁধ নির্মাণকারীরা খালে জনসাধারণকে মাছ ধরতে না দেওয়ায় স্থানীয় মৎস্যজীবীরা পড়েছেন বিপাকে। বিপুল টাকা খরচ করে সরকার খালটি খনন করলেও এর সুফল পাচ্ছেন না এলাকাবাসী।

জানা যায়, সরিষাহাট সিঙ্গার বিলের মাঝখান দিয়ে একটি খাল রয়েছে। পলি পড়ে খালটি ভরাট হয়ে যাওয়ায় কয়েক বছর ধরে বিলে দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। কয়েক মাস আগে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) উদ্যোগে খালটি পুনঃখনন করা হয়। কিন্তু মাস খানেক আগে সরিষাহাট গ্রামের কয়েকজন খালটিতে বালুর বস্তা, বাঁশের চাটাই, বাঁশ ও পলিথিন দিয়ে বাঁধ তৈরি করে পানি আটকে রাখে। এভাবে বাঁধ দিয়ে বিল থেকে আসা দেশীয় প্রজাতির মাছ শিকার করছেন তারা। বাঁধের কারণে পানি নামতে না পারায় প্রায় ৬০০ বিঘা জমি শুষ্ক মৌসুমেই হাঁটু পানির নিচে। দ্রুত বাঁধ অপসারণ না করলে এ জমিতে চাষাবাদ না হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষক। অপরদিকে, স্থানীয় মৎস্যজীবীসহ গ্রামের লোকদের খালে মাছ ধরতে দিচ্ছে না চক্রটি। সরিষাহাট গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, বিলে আমার ৫ বিঘা জমি আছে। সরকারিভাবে খালটি খনন করায় আশা করেছিলাম এ বছর জমি আবাদ করতে পারব। কিন্তু কয়েকজন খালে বাঁধ দেওয়ায় জমিতে এখনো পানি জমে রয়েছে, আবাদ করি কীভাবে। আরেক কৃষক সাইদুল সরকার জানান, যদি খালে বাঁধ দিয়ে মাছই ধরবে, তাহলে খনন করে সরকারি টাকা নষ্ট করার কী দরকার ছিল। মৎস্যজীবী সাবের হোসেন বলেন, তারা (বাঁধ নির্মাণকারী) মৎস্যজীবী না, আবার খাল লিজও নেননি-অথচ দেদার মাছ মারছেন। তাদের হুমকির কারণে আমরা খালে মাছ ধরতে না পেরে কষ্টে দিনাতিপাত করছি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা জানান, কয়েক ব্যক্তি নিজেদের স্বার্থে খালে বাঁধ দেওয়ায় বিলের শত শত বিঘা জমিতে আবাদ হচ্ছে না। এটা খুবই দুঃখজনক। ইউএনও মারিয়াম খাতুন জানান, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর