বৃহস্পতিবার, ১৮ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

ঠাকুরগাঁওয়ে পাউবোর বিনামূল্যে সেচ

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

ঠাকুরগাঁওয়ে পাউবোর বিনামূল্যে সেচ

সেচের পানি দিয়ে চলছে আমন চারা রোপণ -বাংলাদেশ প্রতিদিন

ঠাকুরগাঁওয়ে খরিপ-২ (আমন) মৌসুমে প্রয়োজনীয় বৃষ্টি না হওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন কৃষক। সে দুশ্চিন্তা থেকে কৃষকের মুখে হাসি ফোটাতে আমন ধানের জমিতে সম্পূরক সেচের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ঠাকুরগাঁও জেলা। বিনামূল্যে সেচ সুবিধা পেয়ে দারুণ খুশি কৃষক।

পাউবোর তথ্য মতে, চলতি বছর পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাস্তবায়নে ভুল্লি বাঁধ সেচ প্রকল্পের ৮০০ হেক্টর, টাংগন বাঁধ সেচ প্রকল্পের ৪৪৫০, বুড়ি বাঁধ সেচ প্রকল্পের ১৭২০ হেক্টরসহ জেলার সব সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে ১১ হাজার ৬৬৫ হেক্টর জমিতে সম্পূরক সেচ প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ১১ হাজার ৬৬৫ হেক্টর জমিতে ধান উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫৮ হাজার ২৭৫ মেট্রিক টন, যার আনুমানিক মূল্য ১১৫ কোটি টাকা। সম্পূরক সেচ প্রকল্পে ৮১ কোটি টাকার জ্বালানি সাশ্রয় হবে। ভুল্লি বাঁধ সেচ প্রকল্পের ১ হাজার জন, টাংগন বাঁধ প্রকল্পে ৬০০০ জন ও বুড়ি বাঁধ সেচ প্রকল্পে ২ হাজার জন কৃষক সেচ সুবিধা পাচ্ছেন। আমন ধানের জমিতে সম্পূরক সেচে কৃষিতে আশার আলো দেখছেন চাষিরা। স্বপ্ন দেখছেন ভালো ফলন ও দামের। বুড়ি বাঁধ সেচ প্রকল্পের আওতায় উপকারভোগী কৃষক দয়াল রায় বলেন, আমন আবাদের জন্য যে পরিমাণ বৃষ্টি প্রয়োজন চলতি মৌসুমে তা পাওয়া যাচ্ছে না। সম্পূরক সেচের মাধ্যমে জমিতে পানি দেওয়ায় হতাশা দূর হয়েছে। ভালো ফসল হবে আশা করছি। ভুল্লি বাঁধ সেচ প্রকল্পের সভাপতি আসাদুজ্জামান বলেন, আমাদের বাঁধের আওতায় ১ হাজার কৃষক সম্পূরক সেচ পাচ্ছেন। আমরা আমন চাষ নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় ছিলাম। এ বছর যখন বৃষ্টি হওয়া দরকার তখন বৃষ্টি পায়নি। তবে সম্পূরক সেচের আমাদের এলাকার কৃষক অনেক উপকৃত হচ্ছেন। কৃষিতে প্রাণ ফিরে পেয়েছেন। টাংগন, বুড়ি ও ভুল্লি বাঁধ সেচ প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী মোখলেসুর রহমান বলেন, সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষক দারুণভাবে লাভবান হচ্ছেন। আমরা চেষ্টা করছি তাদের পাশে থাকার। সম্পূরক সেচের মাধ্যমে বড় অঙ্কের জ্বালানি সাশ্রয় হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ঠাকুরগাঁওয়ের উপ-প্রধান সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রফিউল বারী বলেন, আমরা সব সময় কৃষকদের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। খরা মোকাবিলায় আমরা আমন ধানের জমিতে সম্পূরক সেচের ব্যবস্থা করেছি। আমরা মনে করছি এর মাধ্যমে কৃষক স্বস্তি ফিরে পেয়েছেন।

সর্বশেষ খবর