শনিবার, ২৭ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

জরাজীর্ণ বেইলি সেতুতে ২৫ হাজার মানুষের চলাচল

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার কুচলিবাড়ী ইউনিয়নের পাবনাপাড়ার বেইলি সেতুর রেলিং ভেঙে গেছে, সরে গেছে পাটাতন। এতে দহগ্রাম ও কুচলিবাড়ী ইউনিয়নের ২৫ হাজার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। দহগ্রাম থেকে কৃষিপণ্য নিয়ে একটি ট্রাক সেতু দিয়ে পাটগ্রাম সদরে যাওয়ার সময় বেইলি সেতুটির রেলিংয়ের নাট-বল্টু ছুটে গিয়ে ভেঙে গেছে। এ সময় সেতুর পাটাতনও সরে  গেছে। ট্রাকটি পণ্য নিয়ে পার হওয়ার পর ভারী যানবাহন চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে সেতুটি। ভারত থেকে আসা সানিয়াজান নদী কুচলিবাড়ী ইউনিয়নের পানবাড়ি গ্রামের পাবনাপাড়া এলাকা দিয়ে প্রবাহিত অংশে ১৯৮৭-৮৮ সালে বেইলি সেতুটি নির্মাণ করা হয়। এ সেতু ও সড়কপথ দিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে অবস্থিত বাংলাদেশি ভূখণ্ড দহগ্রাম এবং পাশের কুচলিবাড়ী ইউনিয়নের প্রায় ২৫ হাজার বাসিন্দার চলাচলের বিকল্প কোনো সড়ক না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে স্থানীয় মানুষ ও যানবাহন। স্থানীয়রা জানান, চলমান বর্ষা ও বন্যা মৌসুমে সেতুটি একেবারে চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় সাধারণ মানুষ বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে। দহগ্রাম ইউনিয়নের জনসাধারণের চলাচলে ও পণ্য পরিবহনে বিকল্প পথ না থাকায় বাধ্য হয়ে সেতুর ঝুঁকিপূর্ণ অপর অংশ দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। দহগ্রাম ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের গুচ্ছগ্রাম এলাকার আলিফ হোসেন (২০) বলেন, ‘দহগ্রামে আসা ও যাওয়ার পথে সানিয়াজান নদীর ওপর নির্মিত বেইলি সেতুটি ভেঙে যাওয়ার উপক্রম। অতি দ্রুত সেতুটি মেরামত করা উচিত। যদি এটি ভেঙে যায়, তাহলে আমাদের চলাচলে দুর্ভোগে পড়তে হবে।’ দহগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ‘সেতুটি কুচলিবাড়ী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় সানিয়াজান নদীর ওপর নির্মিত হলেও ভারতের অভ্যন্তরে দহগ্রাম ইউনিয়নে আমাদের যাতায়াতের একমাত্র সড়ক এটি। দুদিন আগে রেলিং ভেঙে নাট, বল্টু ছুটে যাওয়ায় সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে।

এটি দিয়ে প্রতিদিন সীমান্তে দায়িত্বরত বিজিবি সদস্য, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, কৃষিপণ্য, সাধারণ লোকজনসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করছে। আমরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি।’ এ বিষয়ে জেলা সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আলতাফ হোসেন বলেন, সেতুটি মেরামতের জন্য একটি প্রকল্প দাখিল করা হয়েছে। শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর