নওগাঁর মাঠে মাঠে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন। যেদিকে তাকাই শুধু সবুজ আর সবুজ। জেলার প্রতিটি মাঠজুড়ে এখন সবুজ ধানের শীষ। জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা নিয়ে হেমন্তের শিশির বিন্দু। সবার চোখ এখন আমন ধানের খেতে। ভালো ফলনের আশায় ধান পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষকরা। কাকডাকা ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলছে ধান পরিচর্যার কার্যক্রম। কার্তিক মাসের শুরুতেই ধানের গাছ এখন শিশির ভেজা বাতাসে দুলছে। এবার জেলায় বন্যা না হওয়ায় গত বছরের চেয়ে এ বছর আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে জেলার ডিলারদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ তেল ও সার পাওয়ায় কৃষকরা অনেকটা আশ্বস্ত হয়েছেন। আত্রাই উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের কৃষক আজাদ প্রামাণিক জানান, এবার চারা রোপণের সময় আমাদের প্রাকৃতিকভাবে কোনো সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়নি। আমাদের এলাকায় বন্যার কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আশানুরূপ ফলন ঘরে তোলা সম্ভব। আত্রাই উপজেলা উপসহাকরী কৃষি কর্মকর্তা পরিমল কুমার সরকার জানান, কৃষকদের খেতে কঞ্চি পুঁতে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যাতে ওইসব কঞ্চিতে পাখি বসে জমির ক্ষতিকর পোকা নিধন করতে পারে। সেই সঙ্গে পরিচর্যা করে কম মাত্রায় কীটনাশক প্রয়োগ করে অধিক ফলনের কলাকৌশলও কৃষকদের শেখানো হচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক আবু হোসেন বলেন, চলতি আমন মৌসুমে কৃষকদের কাক্সিক্ষত ফসল অর্জনে প্রতিটি ব্লক পর্যায়ে ক্যাম্পেইনসহ নানা ধরনের পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়াও মাজড়া পোকা এবং অন্যান্য আবাদ বিনষ্টকারী পোকার আক্রমণ থেকে বাঁচতে প্রতিটি উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা পার্চিংসহ আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহারে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছেন। ফলে উপজেলার কোথাও মাজড়া পোকা, কারেন্ট পোকার আক্রমণ নেই। তবে এবারও আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।