রংপুর অঞ্চলে ঘন কুয়াশার কারণে আলুর আবাদ নিয়ে চাষিরা চিন্তিত হয়ে পড়েছে। গত কয়েকদিন থেকে শীতের প্রকোপের পাশাপাশি কুয়াশা পড়ছে। এই কুয়াশা আলুর জন্য ক্ষতিকারক। তবে কৃষি বিভাগ বলছে এই আবহাওয়ায় আলুর জন্য তেমন ক্ষতিকারক নয়। মাঠপর্যায়ে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। রংপুর নগরীর আলুচাষি আসাদুজ্জামান আফজাল, পীরগাছার বুলবুল মিয়া, মাহাবুব কাউনিয়া উপজেলার আফজাল হোসেনসহ অনেকেই কুয়াশাজনিত কারণে আলুর আবাদ নিয়ে চিন্তিত বলে জানালেন। তারা জানান, ঘন কুয়াশার পর রোদ উঠলে আলু খেতে পচন রোগের শঙ্কা রয়েছে। তাদের আলুর বয়স এক থেকে দেড় মাস হয়েছে। এ অবস্থায় পচন রোগ হলে ক্ষতি সামাল দেওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে বলে তারা মনে করছেন। রংপুর অঞ্চলের ৫ জেলায় চলতি মৌসুমে এক লাখ হেক্টরের বেশি জমিতে আলুর আবাদ হচ্ছে। কিছুটা বৈরী আবহাওয়ার কারণে কৃষকরাও নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে খেত পরিচর্যায় নেমে পড়েছেন। আগাম আলুতে খুব একটা লাভ করতে পারেননি আলু চাষিরা। এখনো অনেক হিমাগারে আলু সংরক্ষিত রয়েছে। এমন অবস্থায় বাড়তি খরচের বোঝা নিয়ে আলু চাষ হলেও কুয়াশার বিষয়টি আবারও দুঃচিন্তার কারণ হয়েছে কৃষকদের। ঠান্ডা আবহাওয়া আলু চাষের জন্য উপকারিতা হলেও কুয়াশা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যে কারণে গত কয়েকদিনের শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে উদ্বিগ্ন কৃষকরা। শৈত্য প্রবাহ শুরু হলে আলু চাষিদের দুশ্চিন্তা আরও বাড়িয়ে দিবে।
এদিকে কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা চাষিদের উদ্বিগ্ন না হয়ে নিয়মিত পরিচর্যা করার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন। কৃষিবিদদের পরামর্শ আতঙ্কিত হয়ে আগাম কীটনাশক ব্যবহার করা হলে হিতে বিপরীত ঘটতে পারে। যখন কোনো প্রাকৃতিক সমস্যা দেখা দেবে তখনই নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ওবায়দুর রহমান বলেন, বর্তমান যে আবহাওয়া বিরাজ করছে তাতে আলুর ক্ষতি হওয়ার শঙ্কা নেই। এ ছাড়া মাঠপর্যায়ে কৃষকদের বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।