রবিবার, ২৮ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

কারখানার বিষাক্ত বিষে দূষিত পরিবেশ

আফজাল, টঙ্গী

কারখানার বিষাক্ত বিষে দূষিত পরিবেশ। নগরীতে অবস্থিত ওয়াশিং, ডাইং, কেমিক্যাল, কারখানা, হাসপাতাল ও ওষুধ কারখানার প্লাস্টিক বর্জ্য এবং তরল বর্জ্যরে কারণে বিষাক্ত হচ্ছে পরিবেশ। নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি। আবার এ বিষাক্ত তরল বর্জ্য সাপ্লাই পানির সঙ্গে মিশে যায়। পরে ওই পানি পান করে অনেক মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। পরিবেশ অধিদফতর কর্তৃপক্ষ এদের বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য ব্যবস্থা না নিয়ে অভিযানের নামে চোর পুলিশ খেলছেন বলে মন্তব্য করছেন পরিবেশবিদরা। যে কারণে এর ভয়াবহতা বেড়েই চলছে। জানা যায়, নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ওয়াশিং, ডাইং, কেমিক্যাল, হাসপাতাল ও ওষুধ কারখানার প্লাস্টিক বর্জ্য এবং বিষাক্ত তরল বর্জ্যে বিষাক্ত হচ্ছে পরিবেশ। নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি। অনেক কারখানা মালিক আন্ডারপাস লাইনে কিংবা সরাসরি ড্রেনে বিষাক্ত পানি জমিতে ও তুরাগ নদে ফেলছে। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত ওয়াশিং ও ডাইং কারখানার অসাধু মালিকরা পরিবেশ ছাড়পত্র ব্যতিরেকে কারখানা পরিচালনা করে আসছেন। আবার কতিপয় মালিক ইটিপি নির্মাণের নামে বছরের পর বছর কালক্ষেপণ করছেন।

তবে এসব কারখানা মালিকরা পরিবেশ অধিদফতর কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করেই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এর মধ্যে টঙ্গী ৪৭ নম্বর ওয়ার্ড শিলমুন, মরকুন, ঝুগিবাড়ি, গোপালপুর, পাগাড়, বিসিক, মিরেশপাড়া, আউচপাড়া, দত্তপাড়া, গাজীপুরা, পুবাইল, মিরের বাজার, বড়বাড়ী, বোর্ডবাজার, জয়দেবপুর, কোনাবাড়ী বিসিক, কাশিমপুর, সালনাসহ বিভিন্ন এলাকায় ওয়াশিং ও ডাইং কারখানার বিষাক্ত তরল বর্জ্যে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। স্থানীয় শিলমুনের বাসিন্দা আসাদ বলেন, ভাই ওয়াশিং ও ডাইং কারখানার বিষাক্ত তরল বর্জ্যরে কারণে একদিকে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে, অন্যদিকে বিষাক্ত পানি সড়কে প্রবাহিত হওয়ার ফলে হাঁটাই মুশকিল হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে টঙ্গী সরকারি হাসপাতালের এক চিকিৎসক মোহাম্মদ জহুরুল ইসলাম বলেন, হাসাপাতাল কিংবা ক্লিনিকের বর্জ্য থেকে বিভিন্ন রোগ জীবাণু ছড়ায়, তাই এসব শোধনে ইটিপি থাকা জরুরি। আর বিষাক্ত তরল বর্জ্যরে কারণে একদিকে পরিবেশ দূষণ অপরদিকে মানব দেহের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এ ব্যাপারে গাজীপুর পরিবেশ অধিদফতর কর্তৃপক্ষ বলছেন, পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সর্বশেষ খবর