পটুয়াখালীর লেবুখালী-দুমকী-চরগরবদি সড়কে অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিনই এখানে ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটে। হতাহতের ঘটনাও ঘটছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই এসব গর্তে পানি জমে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন শিক্ষার্থী, পথচারী ও পরিবহন চালকরা। এ সড়ক দিয়ে দূরপাল্লার পরিবহন, অভ্যন্তরীণ রুটের যানবাহন চলাচল করে। স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, উপজেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী শিক্ষক, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন নিত্য যাতায়াত করে। সাপ্তাহিক হাটবারে (রবিবার ও বুধবার) প্রত্যন্ত এলাকার লোকজন নিত্যপণ্য আনা-নেওয়ার কাজেও এ রাস্তা ব্যবহার করেন।
স্থানীয়রা জানান, আরঅ্যান্ডএইচ বিভাগের ১৭ কিলোমিটার সড়কের বেশির ভাগ স্পটে অসংখ্য গর্ত হওয়ায় ছোট-বড় যানবাহন উল্টে পড়ে যায়। বিশেষ করে বৃষ্টি হলে গর্তের গভীরতা বুঝতে পারেন না চালকরা। তখনই ঘটে দুর্ঘটনা। ছয় মাসে এ সড়কের লেবুখালীর পাগলাসংলগ্ন কাঁঠালতলা, সাতানী বাইপাস মোড়, লালখার ব্রিজ এলাকায় বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনায় একজন মোটরসাইকেল চালক, বাসের হেলপারসহ অন্তত তিনজন নিহত ও ২০ যাত্রী আহত হন। সম্প্রতি পটুয়াখালী যাওয়ার পথে লালখার ব্রিজসংলগ্ন সড়কে পিকআপ ভ্যান উল্টে গিয়ে ২০ শিক্ষার্থী আহত হন। এ রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী যানবাহন চালক ইকবাল, জাহিদ মোহসিনসহ কয়েকজন জানান, দুমকী থেকে লালখার ব্রিজ, দুমকী সাতানীসহ বেশ কয়েকটি স্পটে গর্তের কারণে গাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। বৃষ্টিতে পানি আটকে থাকায় অনেক গাড়ি উল্টে পড়ে। প্রায়ই গাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। তারা এ রাস্তা দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান। উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী সাদ মো. জগলুল ফারুক জানান, সড়ক ও জনপথ বিভাগের সড়ক হওয়ায় আমাদের কিছুই করার নেই। বিষয়টি সড়ক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। যানবাহন ও পথচারীদের ভোগান্তি দূর করতে মাঝে-মধ্যে সড়ক বিভাগের লোকজন এসে এসব গর্ত ভরাটের মাধ্যমে সড়কটিতে যানবাহন চলাচল সচল রাখার কাজ করলেও তা স্থায়ী হচ্ছে না। জনভোগান্তিও কমছে না। সেই সঙ্গে সড়কের জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ ও অপরিকল্পিত ডিভাইডার নির্মাণেও জনদুর্ভোগ বেড়েছে। এ বিষয়ে পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এম আতিকুল্লাহ মাসুদ বলেন, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নিয়মিত মেইনটেনেন্স টিমের মাধ্যমে এসব ছোটখাটো সংস্কার কাজ অব্যাহত আছে। খুব শিগগিরই এ সড়কের মেরামতের কাজ করা হবে। সড়কের পাশে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ ও অপরিকল্পিত ডিভাইডার নির্মাণ প্রশ্নে সরেজমিন দেখে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে, জানান তিনি।
