বগুড়ার বাজারে বিক্রি হচ্ছে অপরিপক্ব লিচু। মধুমাস জ্যৈষ্ঠ শুরুর আগেই শহরের বিভিন্ন বাজারে দেখা মিলছে লিচুর। এসব লিচুর বেশির ভাগই অপরিপক্ব।
গতকাল বগুড়ার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, মৌসুমের আগেই বাজারে উঠতে শুরু করেছে লিচু। ভ্রাম্যমাণ দোকান বসিয়ে সবুজ ও হালকা লাল রঙের লিচু বিক্রি হচ্ছে। এসব লিচুর বেশির ভাগই অপরিপক্ব। বছরের নতুন ফল হিসেবে অনেক ক্রেতার নজরই লিচুর দিকে। ১০০ লিচু বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায়। ভরা মৌসুমের লিচুর তুলনায় এগুলো আকারে ছোট। অনেক ক্রেতাই শিশুদের আবদার মেটাতে এসব লিচু কিনছেন। বগুড়া শহরের স্টেশন সড়কের লিচু বিক্রেতা উজ্জ্বল বলেন, পরিপক্ব লিচু বাজারে আসতে আরও ১০ থেকে ১৫ দিন সময় লাগবে। বাজারে এখন যেসব লিচু বিক্রি হচ্ছে এগুলো নওগাঁ জেলার মহাদেবপুরের। তিনি বলেন, যেসব লিচু বাজারে আছে সেগুলো পুরোপুরি মিষ্টি না। কিছুটা টকমিষ্টি স্বাদের। বাজারে লিচু কিনতে আসা মনোয়ার হোসেন জানান, ১০০ লিচু কিনলাম ৩২০ টাকা দিয়ে। শুনেছি এসব লিচু অপরিপক্ব ও বিষ দিয়ে পাকানো।
আরেক ক্রেতা লাভলু মিয়া জানান, লিচুগুলো টক কিন্তু বাচ্চাদের জন্য শখ করে কিনেছি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. হালিমুর রশিদ জানান, অপরিপক্ব কোনো ফলই খাওয়া উচিত নয়। লিচুর ক্ষেত্রে তো আরও সতর্ক থাকতে হবে। লিচু একটি সেনসিটিভ ফল। অপরিপক্ব লিচু অনেক সময় মেডিসিন দিয়ে পাকানো হয়। এসব ফল খাওয়ার ফলে পেটে খিঁচুনি বা ব্যথা হতে পারে। এমনকি এতে ক্যানসারের ঝুঁকিও থাকে।