ভেজাল পশুখাদ্যে সয়লাব ঝিনাইদহের শৈলকুপা। একটি চক্র পচা চাল, গম, ধানের কুড়া ও মেয়াদোত্তীর্ণ আটার মিশ্রণে তৈরি করছে এসব পশুখাদ্য। যা শুধু প্রাণীদের অসুস্থ করে তুলছে না, মানুষের শরীরেও বিষ ছড়াচ্ছে। কিছুতেই থামানোই যাচ্ছে না এই চক্রের দৌরাত্ম্য। প্রতারিত হচ্ছেন খামারিরা। সূত্র জানায়, শৈলকুপার কবিরপুরে একটি গুদামে রাতের আঁধারে তৈরি হয় ভেজাল গোখাদ্য। তারা এগুলো নামিদামি কোম্পানির মোড়কে ছাড়ে বাজারে। এ খাদ্য কিনে একদিকে যেমন সাধারণ খামারিরা সর্বস্বান্ত করছেন, অন্যদিকে মানুষের পাতে তুলে দিচ্ছে বিষাক্ত মাংস ও দুধ। খামারিরা জানান, ভেজাল পশুখাদ্য উৎপাদন বন্ধ না হলে দুগ্ধ খামার শিল্প মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। স্থানীয় বাসিন্দা রবিউল ইসলাম বলেন, ‘কয়েকবার ওই গুদামে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়েছে। মালিক পক্ষকে মোটা অঙ্কের জরিমানাও করেছে, তারপরও এদের লাগাম টানা যাচ্ছে না। আমরা চাই পশুখাদ্য উৎপাদনের এই গুদাম চিরতরে বন্ধ হোক।’
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার রাসেল আহমেদ জানান, লাইসেন্স ছাড়া গোখাদ্য উৎপাদন সম্পূর্ণ অবৈধ এবং অন্যের স্টিকার ব্যবহার গুরুতর অপরাধ। তিনি বলেন, ভেজাল গোখাদ্য পশুপালন খাত এবং জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি। এর ক্ষতি বহুমাত্রিক এবং দীর্ঘমেয়াদি। ভেজাল খাদ্যে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান থাকে না। এগুলো পশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। পশু দুর্বল হয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বাড়ে। ইউএনও স্নিগ্ধা দাশ জানান, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। অভিযোগ প্রমাণ হলে অসাধু চক্রের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা।