পথচারীদের নিরাপদ চলাচলের জন্য মেহেরপুর শহরের প্রধান সড়কগুলোর পাশে ফুটপাত নির্মাণ করা হয়। তবে তা এখন অস্থাায়ী দোকানি ও ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের দখলে চলে গেছে। ফলে ফুটপাত ছেড়ে বাধ্য হয়ে মূল সড়ক দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে পথচারীদের। এতে একদিকে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে, পাশাপাশি সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট। স্থাানীয়দের অভিযোগ, শহরের বেশির ভাগ ফুটপাতেই বসানো হয়েছে ফলমূল, খাবার, চা-পানের অস্থাায়ী দোকান। স্থাায়ী দোকানদাররা ফুটপাতে পণ্য সাজিয়ে রাখছেন। গ্যাস সিলিন্ডারের মতো ভয়াবহ দাহ্য পদার্থও রাখা হচ্ছে ফুটপাতে। এসব দোকানের কারণে ফুটপাত দিয়ে হাঁটার সুযোগ নেই। এ ছাড়া পাড়া-মহল্লার ফুটপাতেও ময়লা ফেলে রাখা হচ্ছে। এর দুর্গন্ধে হাঁটাও দায় হয়ে পড়ে পথচারীদের।
পথচারী আমজাদ হোসেন বলেন, ‘ফুটপাত দিয়ে কীভাবে হাঁটব? দোকান বসানো হয়েছে, কোনো জায়গা নেই। তাই বাধ্য হয়ে মূল রাস্তা দিয়েই হাঁটতে হয়, যদিও এটা খুব ঝুঁকিপূর্ণ।’
আরেক পথচারী শরিফুল ইসলাম বলেন, ফুটপাত যেন হকারদের জন্য, আমাদের জন্য না! আমরা হাঁটার জায়গা পাই না।’
মেহেরপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী উম্মে সালমা বলেন, ‘স্কুলের সামনের ফুটপাতও দখল হয়ে গেছে। ক্লাস শুরু আর ছুটির সময় এসব দোকানে ভিড় থাকে, স্কুলে ঢুকতে বা বের হতে সমস্যা হয়। অনেক সময় দোকানে ভিড়ের সুযোগ নিয়ে বখাটেরা আমাদের উত্ত্যক্ত করে।’
দোকানিরা বলছেন, প্রভাবশালী মহলকে নিয়মিত চাঁদা দিয়েই ফুটপাত দখল করে ব্যবসা চালাচ্ছেন তারা। বিনিময়ে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগসহ নির্দিষ্ট জায়গায় দোকান বসানোর অনুমতি পান।
মেহেরপুর পৌর প্রশাসক তরিকুল ইসলাম বলেন, পৌর কাউন্সিলের সভায় বিষয়টি আলোচনা করে ব্যবস্থাা নেওয়া হবে।