চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে আলোচিত কামরুল হাসান কাউসার (২১) হত্যা মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে নিহতের মা হামিদা বেগমকে। কাউসারের নানি ফরিদা বেগম বাদী হয়ে ৭ অক্টোবর মামলা ভূজপুর থানায় নিজ মেয়েকে (হামিদা বেগম) প্রধান আসামি করে মামলা করেন। এ ঘটনায় হামিদা বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে বিষয়টি গতকাল জানাজানি হয়। ভূজপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুবুল আলমের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
কাউসারের নানি ফরিদা বেগম বলেন, ‘স্বামী প্রবাসে থাকার সুযোগে হামিদা পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে পড়ে। করিম নামের এক সিএনজিচালকের সঙ্গে তার সম্পর্ক। এ কারণে হামিদা ও তার পরকীয়া প্রেমিক তাদের পথে কাটা সরিয়ে দিতে কামরুলকে বৈদ্যুতিক শর্ট, ব্লেড দিয়ে খুঁচিয়ে ও পিটিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় হত্যা করেছে।’
নিহতের বাবা সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী কামাল ভূঁইয়া বলেন, ‘সিএনজিচালক করিমের সঙ্গে আমার স্ত্রীর আচরণে অনেক আগেই সন্দেহ হয়েছিল। কিছু বললে বলতেন আত্মীয়। আমি মানসম্মানের কথা ভেবে চুপ থেকেছি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সে আমার একমাত্র সন্তানকে হত্যা করেছে। আমি তার সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।’
ভূজপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুল আলম বলেন, ‘নিহতের নানি বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছেন। প্রধান আসামি হামিদা বেগমকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে।’
উল্লেখ্য, ৬ অক্টোবর সকালে ভূজপুর থানা পুলিশ নারায়ণহাট ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইদিলপুর বাউদ্দার পাড় এলাকার পণ্ডিত বাড়িতে নিজের শয়নকক্ষ থেকে কামরুল হাসান কাউসারের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে। ঘটনার পর প্রাথমিক তদন্তে সন্দেহজনকভাবে তার মা হামিদা বেগমকে আটক করে পুলিশ।