জেলার তিন উপজেলাবাসীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ রাজুরবাজার-সিধিলি জিসি সড়কে বিভিন্ন স্থানে গর্ত, খানাখন্দ হয়ে যানবাহন চলাচলের একেবারেই অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়কের ১১ কিলোমিটারেরই এ বেহাল অবস্থা। এ রাস্তার প্রায় সবখানেই খানাখন্দ। কোথাও কোথাও গর্ত এথ বড় যে, বৃষ্টি হলে ছোট পুকুরের মতো মনে হয়। ঘটে দুর্ঘটনা, নষ্ট হয় যানবাহনের যন্ত্রাংশ। বিকল্প না থাকায় বাধ্য হয়ে যানবাহন ও পথচারীদের এ পথ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, নেত্রকোনার তিন উপজেলাবাসীর স্থল যোগাযোগে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তা। ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়ক দিয়ে নেত্রকোনা থেকে খুব সহজে সীমান্ত উপজেলা দুর্গাপুর এবং কলমাকান্দায় যাওয়া যায়। এ পথ ব্যবহার করলে এসব এলাকার মানুষের অনেক সময় বেঁচে যাওয়ার পাশাপাশি খরচও কম হয়। রাস্তাটি বেহাল অবস্থায় রয়েছে। এর বিভিন্ন জায়গায় গর্ত তৈরি হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, বারবার মেরামত হলেও রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। বিভিন্ন সময়ে সড়কটিতে বিভিন্ন চেইনেজ অংশে ভাগ করে এক, দুই বা আধা কিলোমিটার করে সংস্কার কাজ করা হয়েছে। গেল দেড় দশকে এভাবে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে রাস্তা মেরামত করলেও তা স্থায়ী হয়নি। পাঁচ বছর ধরে এ ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে। এ সড়কে তারা অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। শিকার হচ্ছেন ছোট-বড় দুর্ঘটনার।
জানা গেছে, এ সড়কে গেল দেড় দশকে ধাপে ধাপে ৯ কোটি ৫৭ লাখ টাকার সংস্কার কাজ করা হয়েছে। এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, ২০০১ সালে শূন্য থেকে ৪৫১০ মাইলেজ ৫২ লাখ টাকা ব্যয়ে বিটুমিন কার্পেটিং (পিচ) করা হয়। ২০০৮ সালে ৫০৯০ থেকে ৬২০০ মাইলেজ (এক কিলোমিটার) পর্যন্ত ৩৮ লাখ টাকায় মেরামত হয়। ২০১০ সালে ৪৫১০ পর থেকে ৫০৯০ চেইনেজ পর্যন্ত ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়ক নির্মাণ হয়।
২০১২ সালে ৬২০০ থেকে ৭২০০ মাইলেজ পর্যন্ত ৬৪ লাখ টাকায় ডিপি পাস হয়। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৭২০০ থেকে ১৩২০০ মাইলেজ (৬ কিলোমিটার) ৬ কোটি ৭৮ লাখ টাকায় নির্মাণ ও মেরামত হয়। এ ছাড়া ২০২২-২৩ সালে চারটি প্যাকেজে ৩২ কোটি টাকায় কাজ শুরু হয়। এ সময়ে দুই কিলোমিটার সড়ক কার্পেটিং করা হয়। পরে আর কোনো কাজ করা হয়নি।
এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, সড়কটি সদরে ৮ কিলোমিটার ও বাকিটা কলমাকন্দায় পড়েছে। এর মধ্যে দুই কিলোমিটারে গত বছর নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকিটার প্রস্তাবনা পাঠানো আছে। দ্রুতই এ কাজ সম্পন্ন হবে।