ফরিদপুরের ভাঙ্গা ও ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারের জেরে সংঘর্ষে ৩৫ জন আহত হয়েছেন। এ সময় কয়েকটি দোকান ও বাড়িঘর ভাঙচুর এবং লুটপাট করা হয়েছে। প্রতিনিধিদের খবর-
ভাঙ্গা : উপজেলার মানিকদহ ও ঘারুয়া ইউনিয়নে পৃথক স্থানে সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন। এ সময় ১০টি বাড়ি ও একটি দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। মানিকদহ ইউনিয়নে গতকাল সকালে আর ঘারুয়া ইউনিয়নের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে শুক্রবার সন্ধ্যায়। এলাকাবাসী জানায়, মানিকদহ ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুটি পক্ষের বিরোধ রয়েছে। একপক্ষের নেতৃত্ব দেন ইউপি চেয়ারম্যান কে এম শহীদুল্লাহ বাচ্চু। অপর পক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন সাবেক চেয়ারম্যান আবু সাঈদ মিয়া। শনিবার সকাল ৯টার দিকে রামদেবপুর, লক্ষ্মীপুর, আদমপুর গ্রামের উভয় পক্ষের শত শত লোক সংঘর্ষে জড়ায়। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে বাড়িঘর ভাঙচুর ও দোকানে লুটপাট করা হয়। আহত হন ১০ জন। অপরদিকে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ঘারুয়া ইউনিয়নের হাজরাকান্দা গ্রামে দুই পক্ষের পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ চলে। আহত হন কমপক্ষে ১৫ জন। ভাঙ্গা থানার ওসি মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, এসব ঘটনায় কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি।
ঝিনাইদহ : এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও বিয়েতে দাওয়াত না দেওয়ায় ঝিনাইদহে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। সদর উপজেলার বাকড়ী গ্রামে গতকাল এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, শুক্রবার বাকড়ী গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। বিয়েতে প্রতিবেশী ও প্রতিপক্ষ সাহের উদ্দীনকে দাওয়াত না দেওয়ায় রাতে উত্তেজনা দেখা দেয়। এর জেরে শনিবার সকালে সাহের উদ্দীন লোকজন নিয়ে রফিকুলের বাড়িতে হামলা করলে সংঘর্ষ বাধে। সদর থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, বাকড়ী গ্রামে সংঘর্ষ হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।