নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মাদক কেনার টাকা না পেয়ে খাদিজা আক্তার নামে এক গৃহবধূকে তার স্বামী পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছে নিহতের পরিবার।
মঙ্গলবার সকালে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে, সোমবার রাতে উপজেলার তারাব পৌরসভার কাহিনা এলাকায় ওই গৃহবধূকে হত্যা করা হয়।
নিহত গৃহবধূ খাদিজা আক্তার কাহিনা এলাকার নুরুল ইসলামের মেয়ে এবং স্থানীয় লিটল ফ্লাওয়ার কিন্ডার গার্টেন স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন।
খাদিজার বাবা নুরুল ইসলামের দাবি, মাদক কেনার টাকা না দেয়ায় খাদিজাকে তার স্বামী পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করেছে।
রূপগঞ্জ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আক্কাস আলী জানান, বসতঘরে খাদিজা আক্তারের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
তিনি বলেন, খাদিজা আক্তারের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, স্বামীর সঙ্গে ঝগড়ার সময় মাথায় আঘাতে খাদিজার মৃত্যু হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন আসলে প্রকৃত ঘটনা বলা যাবে।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, অভিযুক্ত মতিউর রহমান মতিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বিডি-প্রতিদিন/২৪ মে, ২০১৬/মাহবুব