ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসে পার্বত্যাঞ্চল থেকে সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি ও জঙ্গি কার্মকাণ্ড প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্যপ্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর ঊশৈসিং, এমপি। তিনি বলেন, সরকার সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। নাশকতাকারীদের কোনোনভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, পাহাড়ের মানুষ আর অশান্তি চায় না। তাই স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অবশ্যই সকল জাতি গোষ্ঠীর মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি ও জঙ্গি কর্মকাণ্ড চিরদিনের জন্য বন্ধ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বীর বাহাদুর এসব কথা বলেন।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমার সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম, রাঙামাটি পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম জাকির, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সারোয়ার, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য মো. কামাল উদ্দিন, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য অংসুইপ্রু চৌধুরী, ত্রিদিপ কান্তি দাশ, সবির কুমার চাকমা, সান্তনা চাকমা প্রমুখ।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ১৯৯৭ সালে পার্বত্যাঞ্চলের মানুষের নিরাপত্তা, শান্তি প্রতিষ্ঠা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে শান্তি চুক্তি করা হয়েছে। আর সরকার এ চুক্তির অধিকাংশ ধারাও বাস্তবায়ন করেছে। চুক্তির পর পাহাড়ে বেপক উন্নয়নও হয়েছে। তিনি বলেন, এখন পাহাড়ের শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে উঁচ্চ শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে। দেশ-বিদেশে পর্যন্ত পড়া লেখার করছে তাঁরা। তাহলে কেন শান্তি প্রতিষ্ঠা হচ্ছেনা। কারন কিছু সন্ত্রাসী গোষ্ঠী পাহাড়ের এ উন্নয়ন চায় না। তাই তারা আজও অবৈধ অস্ত্র সংরক্ষণ করে রেখেছে। এসব অবৈধ অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে পাহাড়ে মানুষকে জিম্মি করে তাদের স্বাধীনতা খর্ব করছে। এসব সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করতে প্রশাসনকে সহায়তা করতে সকল সম্প্রদাযের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
পরে পরিষদ হতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের শীতবস্ত্র ও জেলার ২৫টি শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সরঞ্জাম হারমোনিয়াম, তবলা, স্কাউটসব্যান্ড সেট, মৃদঙ্গ, ফুটবল, ক্রিকেটসেট,ফুটবল, ভলিবল ও বাস্কেটবল প্রদান করেন অতিথিরা।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৬/ আফরোজ