এ মৌসুমের পৌষ মাসের শুরুতে তেমন শীত না থাকলেও শেষে এর তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। কনকনে শীত জেকে বসেছে। সকাল ও রাতে হিমেল হাওয়া আর কুয়াশায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে এ অঞ্চলের ছিন্নমুল ও খেটে খাওয়া শ্রমজীবি মানুষ। বীজতলা নিয়ে চিন্তিত কৃষক। শীতজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। দিনাজপুরসহ উত্তরাঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে শৈত্য প্রবাহ। এর প্রভাবেই কাপঁছে দিনাজপুরবাসী।
শুক্রবার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ও রাতে কুয়াশা আর হাড় কাপানো কনকনে শীতে আগুন জ্বালিয়েও নিস্তার পাচ্ছেন না শীতে কাবু মানুষগুলো। সকালে মহাসড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যান চলাচল করেছে। শনিবার শুরু হচ্ছে মাঘ মাস। কথায় আছে মাঘ মাসের শীতে বাঘও কাঁদে। এ কনকনে শীত আরও কয়েকদিন থাকবে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা গোলাম রব্বানী জানায়, দিনাজপুরের উপর দিয়ে শৈত্য প্রবাহ প্রবাহিত হওয়ায় ঠান্ডার পরিমান বেড়ে গেছে। শুক্রবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। তাপমাত্রার সাথে পশ্চিমা বাতাস থাকায় কনকনে শীত অনুভুত হচ্ছে।
বিরূপ আবহাওয়ার কারণে কষ্টে আছে খেটে খাওয়া মানুষগুলো। রাতে শহরে লোকজনের সংখ্যা একেবারে কম। খুব দরকারী ছাড়া কেউ যেন বের হতে চাননা।
বিডি প্রতিদিন/১৩ জানুয়ারি ২০১৭/হিমেল