লামায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ অতিরিক্ত টাকা নিয়েও ফরম পূরণ না করাতে দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি লামা ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসার ২ দাখিল পরীক্ষার্থী। অধ্যক্ষের এই প্রতারণার বিচার চেয়ে মাদ্রাসার সভাপতি ও বান্দরবান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবক আনোয়ার হোসেন ও আমির হোসেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শিক্ষার্থী তানিয়া ফেরদৌস ও জান্নাতুল মাওয়া ২০১৭ সালের দাখিল পরীক্ষা অংশগ্রহণ করতে ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে নিয়ম নীতি মেনে শিক্ষকদের চাহিদা মত টাকা দিয়ে ফরম পূরণ করে। ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে বিশেষ সূত্রে তারা জানতে পারে যে তাদের ফরম পূরণ হয়নি। হতাশ ও নিরুপায় হয়ে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা মাদ্রাসা কমিটির সদস্য ও জনপ্রতিনিদের বিষয়টি অবহিত করে।
সে সময় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা জাফর উল্লাহ জানান, " যে সকল পরীক্ষার্থী ফরম পূরণ করতে পারেনি তাদের জন্য ২০১৬ সালের ২৭ নভেম্বর থেকে ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বর্ধিত করেছে।"
এরপর তৎক্ষনাত অধ্যক্ষের চাহিদা মোতাবেক পুণরায় তানিয়া ফোরদৌস ৭শত টাকা আর জান্নাতুল মাওয়া ২ হাজার টাকা প্রদান করে। অধ্যক্ষ শিক্ষার্থীদের অভিভাবক এবং জনপ্রতিনিধের জানায় যে, "দুই ছাত্রীর ফরম পূরণ হয়ে গেছে।"
কিন্তু ২০১৭ সালের ৩১ শে জানুয়ারী দুই পরীক্ষার্থী প্রবেশ পত্র আনতে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে গেলে, তাদের জানায় তোমাদের ফরম পূরণ হয়নি। কিংকর্তব্যবিমূঢ হয়ে যায় শিক্ষার্থীরা। দুই শিক্ষার্থীর অনিশ্চয়তা শিক্ষা জীবন ও প্রতারণার বিচার চেয়েছেন তাদের অভিভাবকরা।
লামা ইসলামিয়া ফাজিল(ডিগ্রী) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা জাফর উল্লাহ বলেন, "আমরা সকল কাগজপত্র বোর্ডে প্রেরণ করেছি। অন্যদের ফরম ফিলাপ হলেও এই দুইজনে ফরম ফিলাপ হয়নি।"
বান্দরবান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মুফিদুল আলম বলেন, "বিষয়টি আমি জানিনা। অভিযোগ হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।"
উল্লেখ্য, এবছর লামা উপজেলার ৫টি পরীক্ষা কেন্দ্রে ১৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১ হাজার ১১০ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি ও সমমনা পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭/ আবুল্লাহ সিফাত-১১