টেকনাফে সাঁড়াশি অভিযানে পুলিশের উপর হামলা ও গুলি বষর্ণের ঘটনা ঘটেছে। এসময় হ্নীলা ও হোয়াইক্যং এলাকা থেকে প্রায় ২৪ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও হ্নীলা ইউপি সদস্য ও অপর এক ইউপি সদস্যের স্ত্রীসহ ১৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
টেকনাফ মডেল থানার পরিদশর্ক ( তদন্ত) শেখ আশরাফুজ্জামান জানান, বুধবার ভোর রাতে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফজুরুল হক টুটুল ও সহকারী পুলিশের (উখিয়া-টেকনাফ) সার্কেল চাইলাউ প্রু মার্মার নেতৃত্বে পানখালী এলাকায় অভিযানে গেলে পুলিশের উপর হামলা ও গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশও আত্মরক্ষার্থে ২০-২৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
এতে হ্নীলা পানখালী এলাকার ইউপি সদস্য মৃত সোনা আলীর ছেলে হোছন আহম্মদ (৪৮) ও একই এলাকার মৃত আহমদুর রহমানের ছেলে লুৎফর রহমান সুমন ও ইউছুফ আলীর ছেলে শামসুল আলকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় ৫ হাজার পিস ইয়াবাসহ ইউপি সদস্যের ভাই আলী আহম্মদকে (৩২) গ্রেফতার করা হয়।
অপরদিকে পুলিশের অভিযানে হ্নীলা ফুলের ডেইল এলাকার ইউপি সদস্য ইয়াবা সম্রাট শামসুল আলম বাবুলের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ১০ হাজার পিস ইয়াবাসহ তার স্ত্রী ছালেহা বেগমকে (৩০) গ্রেফতার করা হয়।
এছাড়া হ্নীলা পানখালী এলাকা থেকে আবছার উদ্দিন (৩২), সিকদার পাড়া এলাকা থেকে ৩ হাজার পিস ইয়াবাসহ শামসুদ্দীন (৫০) ও হোয়াইক্যং খারাংখালী নাছার পাড়া এলাকার মৃত সোলেমানের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ২ হাজার ১শ' পিস ইয়াবাসহ নবী হোছন (৩৮) ও সিরাজ মিয়া (২৮) এবং কাটাখালী এলাকা থেকে ১৮শ' পিস ইয়াবাসহ খায়রুল বশরকে (৪২) গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ইউপি সদস্য হোছেন আহম্মদ, শামসুল আলম ও সুমনের বিরুদ্ধে পুলিশের উপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা প্রদানের দায়ে মামলা করা হয়েছে।
এছাড়া গ্রেফতার ইয়াবা সম্রাট বাবুলের স্ত্রী ছালেহা বেগম, আলী আহম্মদ,আবছার উদ্দিন, সামশুদ্দীন, নবী হোছেন, সিরাজ মিয়া ও খায়রুল বশরের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য আইনে পৃথক মামলা করা হয়।
টেকনাফ মডেল থানার পরিদশর্ক ( তদন্ত) শেখ আশরাফুজ্জামান আরও জানান, এ অভিযানে আরো ৯ জনকে গ্রেফতার হলেও তাদের যাচাই-বাঁছাই করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/২ আগস্ট ২০১৭/হিমেল