ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অভ্যন্তরে থেকে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা রোগী ও তাদের স্বজনদের প্রতারণার মাধ্যমে প্রাইভেট হাসপাতালে পাঠানো এবং টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ৫ নারী দালালকে আটক করেছে র্যাব। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আটককৃতদের মধ্যে ৩ জনকে ১৫দিন করে এবং অন্য দু'জনকে ৭ দিন করে সাজা প্রদান করা হয়েছে। আজ র্যাব ফরিদপুর ক্যাম্পের একটি দল এ অভিযান চালায়।
র্যাব-৮ ফরিদপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রইচউদ্দিন জানান, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা দালালদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছিল। কোন রোগী এলেই দালাল চক্রটি হাসপাতালের ভেতর থেকে প্রতারনা ও ভালো চিকিৎসা দেবার কথা বলে প্রাইভেট ক্লিনিক ও হাসপাতালে নিয়ে যেত। দীর্ঘদিন ধরে রোগী ও তাদের স্বজনেরা দালালদের প্রতারনা খপ্পরে পড়ে আসছিল। এমন অভিযোগের ভিক্তিতে বুধবার হাসপাতাল অভ্যন্তরে অভিযান চালানো হয়। এসময় আনোয়ারা, জলি, ফরিদা, শিল্পি ও নাসরিন নামের ৫ মহিলা দালালকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালব বসিয়ে ৫ জনকে সাজা প্রদান করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. পারভেজ মল্লিক। র্যাব জানান, তাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এদিকে, স্থানীয় এলাকাবাসী, রোগীদের স্বজনেরা অভিযোগ করে বলেন, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল অভ্যন্তরে পুরুষ-নারী মিলিয়ে কমপক্ষে অর্ধশত দালাল রয়েছে। যাদের কাজই হচ্ছে, কোন রোগী এলে তাদের ভুল বুঝিয়ে এবং ভালো চিকিৎসা সেবা প্রদানের কথা বলে প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালের একশ্রেণির চিকিৎসকদের সাথে প্রাইভেট ক্লিনিক মালিকদের যোগসাজস রয়েছে বলেও দাবি তাদের। র্যাবের অভিযানের সময় বেশীর ভাগ দালাল কৌশলে সরে পড়ে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার