সাভারে ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগের যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় অবস্থিত এলাহী কমিউনিটি সেন্টারে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার দলীয় নেতাদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সমালোচনার করে উপস্থিত নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা সাভার উপজেলায় আসেন। আমরা মিটিং ডাকি, আপনারা আমাদের কথা শুনবেন। দলের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কিছু কোন্দল রয়েছে, যা সংশোধন করে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবো।’
ঢাকা জেলা সাধারণ সস্পাদক সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান বলেন, বিএনপি-জামায়াতের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত আশুলিয়া ও সাভার আওয়ামী লীগসহ সকল সহযোগী এবং ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের অবস্থান আগের মত নাই। আপনার নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে গিয়ে একে অন্যের প্রতি কাদা ছোড়াছুড়ি করে যাচ্ছেন। এতে করে আমাদের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আগামীতে সংসদ নির্বাচনে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সংগঠন যদি ঐক্যবদ্ধ না হয়, তাহলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কঠিন হয়ে যাবে। এসময় তিনি ঢাকা জেলা সভাপতি বেনজীর আহমেদকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আপনি কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে গ্রুপিং নিরসনের চেষ্টা করুন।’
সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনা দৌলা বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরেই রাজনীতি করছি। রাজনীতির জন্য শ্রম, ঘাম এবং অর্থ ব্যয় করলাম, কিন্তু হঠাৎ করে আপনারা (কেন্দ্রীয় নেতা) সংসদ সদস্য বানিয়ে দেন। আপনারা কী আমাদের মতো মানুষদের চোখে দেখেন না। আমরা কী যোগ্যতার সঙ্গে রাজনীতি করি নাই?’
ঢাকা জেলা সহ-সভাপতি কাজী শওকত হোসেন বলেন, আশুলিয়ার আওয়ামী লীগে আগে দ্বন্দ্ব ছিল না। কিন্তু এখন অনেক দ্বন্দ্ব দেখা যাচ্ছে। এ দ্বন্দ্ব মিটিয়ে ফেললে আগামী নির্বাচনেও বিপুল ভোটে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিজয়ী হবে।’
ঢাকা ১৯ আসনের সংসদ সদ্যস ডা. এনামুর রহমান বলেন, সংগঠন চলতো, নেতারা পদ-পদবি পেতো। পছন্দমতো নেতাকর্মীরা দলে পদ পেয়েছেন। যদি এ কমিটিগুলো দলীয় গঠনতন্ত্র মেনে করা হয়, তাতে দল শক্তিশালী হবে। আগামী নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী বিজয়ী হবে।’
উপস্থিত একজন নেতারা বলেন, সাভার ও আশুলিয়ার আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক অবস্থান অনেক দুর্বল। সারাদেশে যেখানে ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয়জয়কার হয়েছে। যদি সাভার আসন পুনরুদ্ধার করতে হয়, তবে দলের সাংগঠনিক কর্মকান্ড বৃদ্ধি করতে হবে। আওয়ামী লীগ অনেক বড় দল, অনেক বড় পরিবার। ছোটখাটো সমস্যা থাকতে পারে। যারা বক্তব্য রাখবেন, কাউকে আক্রমণ করবেন না। সমস্যা আমরা সবাই জানি। আজকের পরিবেশটা নষ্ট করবেন না। আমরা ঘরোয়া আলোচনায় সমস্যা সমাধান করতে পারি।
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদ বলেন, সামনে জাতিয় নির্বাচন এখন কোন কাঁদা ছড়াবেন না। ছড়ালে সবার গায়েই লাগবে। সাংগঠনিক ডিসিপ্লিন মেনে চলুন। নির্বাচনে কেউ প্রার্থী হতে পারবে না। প্রার্থী হবে নৌকা। ইতোমধ্যে কয়েক দফা যাচাইবাছাই হয়েছে। হতে থাকবে এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেওয়া হবে। জনবিচ্ছিন্ন নেতাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না। একই পরিবারে কাজ করতে গিয়ে মতবিরোধ হয়, তার সমাধানও হয়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার