গাজীপুর থেকে নারায়ণঞ্জগামী একটি চলন্ত ট্রাকে এক কিশোরীকে (১৫) পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ট্রাকের চালক মেহেদী হাছান (২৩) ও হেলপার সোহান (২২) তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করেন ঐ কিশোরী। আজ এলাকাবাসীর সহায়তায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ গোদনাইলের এসিআই পানির কল এলাকা থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আজ রাত সাড়ে ৮টায় সিদ্ধিরগঞ্জ বাজার এলাকা থেকে চালক মেহেদী হাছানকে গ্রেফতার করে।
আজ রাত সাড়ে ৮টায় অভিযান চালিয়ে চালক মেহেদী গ্রেফতার করেছেন বলে জানিয়েছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (সার্বিক) আব্দুস সাত্তার। পুলিশ ও ধর্ষণের শিকার কিশোরী জানান, ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় মায়ের সঙ্গে অভিমান করে বাড়ি থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা এলাকায় আসে। পরে একটি মালবাহী ট্রাকের (ঢাকা-মেট্রো ট-০২-০৩৪৪) চালক মেহেদী হাছান ও হেলপার সোহান তাকে একা পেয়ে ট্রাকে তুলে নেয়। পথিমধ্যে চালক ও হেলপার ঐ কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। আজ সকালে সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইলের এসিআই পানির কল এলাকায় ট্রাক থেকে এক কিশোরীর কান্নার শব্দ শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসে। এ সময় চালক ও হেলপার ট্রাক ফেলে কৌশলে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ওই ধর্ষিতাকে উদ্ধার ও ট্রাকটি আটক করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় নিয়ে আসে। ধর্ষণের শিকার কিশোরীর বাড়ি গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া থানার মনিপুর এলাকায়।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুস সাত্তার জানায়, ওই কিশোরীরের আগে বিয়ে হয়েছিল। কিছুদিন পরে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। সে মাঝে মাঝে বাড়ি থেকে রাগ করে বের হয়ে যেত। মঙ্গলবার রাতে বাসা থেকে বের হয়ে ট্রাকে ওঠে। পরে ট্রাকটি ঢাকার এয়ারপোর্ট এলাকায় পৌঁছলে প্রথমে ট্রাকের চালক ও পরে হেলপার তাকে ধর্ষণ করে বলে ওই কিশোরী পুলিশে জানায়। তিনি আরো জানান, রাত সাড়ে ৮টায় আমি (ওসি আব্দুস সাত্তার) অভিযান চালিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ট্রাকের চালক মেহেদী হাছানকে গ্রেফতার করেছি। হেলপার সোহানকেও গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে রাত সাড়ে ৯টায় ওসি এ প্রতিবেদককে জানান।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার