পাহাড়ের অবৈধ অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে গণমাধ্যম কর্মীদের লিখনি আরও তীব্র করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার। তিনি বলেন, পার্বত্যাঞ্চলে উন্নয়নের মূল শত্রু হচ্ছে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী। তাদের কারণে এ পাহাড়ি অঞ্চলে সরকারের সকল উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তাদের চাঁদাবাজী, খুন, গুম হয়রানীসহ বিভিন্ন অত্যাচারে পাহাড়ের মানুষ অতিষ্ঠ। কিন্তু এসব ঘটনার কথা জানা সত্বেও স্থানীয় সাংবাদিকরা তা লিখতে পারছেন না। কারণ সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হুমকি দমকি থেকে সাংবাদিকরা বাদ পরেনি।
সোমবার দুপুর ১২টায় রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এসব কথা বলেন।
পার্বত্যাঞ্চলে মানুষের স্বার্থে সরকারের উন্নয়নকে গতিশীল করতে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের এসব সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ভয়-ভীতির ঊর্ধ্বে থেকে তাদের কর্মকাণ্ড লিখনির মাধ্যমে জাতির কাছে তুলে ধরার আহবান জানান তিনি।
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের পরিচালক মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রশাসন মো. মঞ্জুরুল আলম, রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. সাখায়াৎ হোসেন রুবেল প্রমূখ।
এ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় রাঙামাটিতে কর্মরত ইলেকট্রোনিক মিডিয়ার ২৩ জন সংবাদ কর্মী অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত গণমাধ্যম কর্মীদের তিনটি দলে বিভক্ত করে দেওয়া হয়। দলগুলোর নাম হলো-কাচালং, চেঙ্গি ও কর্ণফুলি। প্রশিক্ষণ শেষে রাঙামাটির প্রত্যন্ত জেলাগুলোতে শিশু ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডের উপর মাঠপর্যায়ে বিশেষ প্রতিবেদন তৈরি করে প্রথম পুরস্কার জিতে নেয় কাচালং দল। এসময় কাচালং দলের প্রধান ফাতেমা জান্নাত মুমু’কে পুরস্কার তুলে দেন ইনস্টিটিউটের পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম।
এর আগে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত গণমাধ্যম কর্মীদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন। ইউনিসেফের সহযোগিতায় ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে শিশু ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক যোগযোগ কার্যক্রম প্রকল্প বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন