মিয়ানমার থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে শত শত টন পেঁয়াজ আমদানি হলেও এর কোন প্রভাব পড়েনি বাজারে। টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে মিয়ানমার থেকে একদিনে ৭টি ট্রলারে ১ হাজার ৩২০ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। চলতি মাসের ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত ১৮ হাজার ৯৭২ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করছেন ব্যবসায়ীরা।
টেকনাফ শুল্ক স্টেশন সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকাল পর্যন্ত ৭টি ট্রলারে করে কয়েকজন ব্যবসায়ীর নামে মিয়ানমার থেকে ১ হাজার ৩২০ মেট্রিকটন পেঁয়াজ নাফনদীর টেকনাফ স্থল বন্দরের জেটিতে এসে পৌছে।শ্রমিকেরা পেঁয়াজগুলো ট্রলার থেকে খালাস করে ট্রাকে বোঝাই করেছেন। প্রতিটি বস্তায় ৪০কেজি করে পেঁয়াজ রয়েছেন।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, টেকনাফ পৌরসভায় বাজারে প্রতি কেজি বড় সাইজের পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকা আর ছোট পেঁয়াজ ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এসব পেঁয়াজ আড়তদারের কাছ থেকে ৯০ থেকে ৭০ টাকায় কিনে আনেন খুচরা বিক্রেতারা। সরকার সারাদেশে পেঁয়াজের দাম কমিয়ে আনতে নানা উদ্যোগ নিলেও তা কোন কাজে আসছে না। বাজারে পেঁয়াজের দাম সহনশীল রাখতে অভিযান পরিচালনা এবং ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠকের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি হয়ে পড়েছে। তবে বাজার মনিটরিং না করলে পেঁয়াজের দাম কমার সম্ভবনা নেই বলে জানায় স্থানীয়রা।
স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হক বাহাদুর বলেন, একদিনে সাত প্রতিষ্ঠানের নামে মিয়ানমার থেকে ১ হাজার ৩২০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ স্থলবন্দরে এসেছে। বাজার স্বাভাবিক রাখতে মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন যদি বন্দরের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাহলে ব্যবসায়ীরা লোকসান থেকে রক্ষা পেতো।
টেকনাফ স্থলবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা আবছার উদ্দিন বলেন,মিয়ানমার থেকে ব্যবসায়ীরা প্রচুর পরিমান পেঁয়াজ আমদানি করে আসছে, তাতে সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির কোন কারণ নেই। শনিবার সাত প্রতিষ্ঠানের ১ হাজার ৩২০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ খালাস করা হয়েছে। জেটিতে পৌঁছানো পেঁয়াজের ট্রলারগুলো খালাস প্রক্রিয়া শেষ করে দ্রুত দেশের বিভিন্ন জেলা শহরের পৌঁছাতে চালান করা হচ্ছে। গত সেপ্টেম্বরে রাজস্ব আদায়ে মাসিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে হিমশিম খেতে হয়েছে। তবে চলতি মাসেও রাজস্ব আদায় নিয়ে আশঙ্কা করছেন তিনি।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ