নৌকা পাগল এক মানুষের নাম নুরুল ইসলাম নুরু। যেখানেই নির্বাচন নৌকা সাথে নিয়ে সেখানেই হাজির হন তিনি। আর্থিক সামর্থ্য না থাকলেও রয়েছে মনের সামর্থ্য। রয়েছে দল ও দলের প্রতীক নৌকার প্রতি অকুণ্ঠ ভালবাসা।
নাটোর শহরের চকবৈদ্যনাথ এলাকার ক্ষুদ্র চামড়া ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম নুরু ছিলেন নাটোর পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর। ছিলেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এখন আর কোনো পদেই নেই তিনি। বর্তমানে দলের একজন সাধারণ সদস্য তিনি। তারপরও যেখানেই নৌকা সমর্থক কোনো মানুষের বিপদের কথা শুনতে পান ছুটে যান নেতার ভূমিকা নিয়েই। কনকনে শীত অথবা ঝড়ো আবহাওয়া; দিন কিংবা রাত নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ফেলে ছুটে যান বিপদগ্রস্থ আওয়ামী লীগ কর্মী-সমর্থক বা সাধারণ মানুষের কাছে। ফলে এলাকায় রয়েছে তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা।
নৌকা ও দলের প্রতি বাড়তি ভালবাসার কারণে কথিত দলীয় অনেক কর্মীর গোপন ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হয় নুরুকে। তারপরও থেমে নেই তার চলার গতি।গত জাতীয় নির্বাচনে নিজের একমাত্র সম্বল মোটর সাইকেলে নৌকা আর হ্যান্ডমাইক বেধে নির্বাচনী গণসংযোগে ছুটে গেছেন গোপালগঞ্জ পর্যন্ত। দেশব্যাপী আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতার নির্বাচনী গণসংযোগে অংশ নিয়েছেন।
নুরুল ইসলাম নুরু বলেন, তিনি নৌকার তথা বঙ্গবন্ধুর একজন সৈনিক। দলের বিজয় তার বিজয়। তাই যেখানেই নির্বাচন সেখানেই তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েন নৌকা নিয়ে প্রচারনায়।
তিনি আরও বলেন, দলের প্রধান শেখ হাসিনার পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রকৃত আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের মূল্যায়ন ও সঠিক স্থানে বসালে বা দায়িত্ব পালনের সুযোগ দিলে আগামী ৫০ বছরেরও আওয়ামী লীগকে কেউ পেছনে ফেলতে পারবে না। কিন্তু দলের তৃণমূলে ঢুকতে শুরু করেছে সুবিধাবাদীরা।
দলের অনেক নেতাই মনে করেন, নুরুর মত নিবেদিত প্রাণ নেতা-কর্মীদের বেশি বেশি করে কাজে লাগাতে পারলে তৃণমূলে দলের শক্তি আরও বেড়ে যাবে। অথচ গত ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তাকে দেয়া হয়নি কোনো পদ। এ নিয়ে তার কোনো আক্ষেপ নেই। তিনি নৌকার জন্য কাজ করে যাবেন এটাই তার সাফল্য।
জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক নাটোর সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজান বলেন , নুরুল ইসলাম নুরু নৌকার জন্য নিবেদিত প্রাণ একজন কর্মী। তাকে অবশ্যই দলের দলের মূল্যায়ন করা উচিত।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম
