কক্সবাজারের পেকুয়ায় দুই ডাকাত দলের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। এতে তালিকাভুক্ত ডাকাত সদস্য মোহাম্মদ আলমের নামের এক ডাকাত নিহত হয়েছেন। 

এ সময় ডাকাতদের গ্রেফতার করতে গিয়ে এএসপি সার্কেল, ওসি ও এএসআইসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আহতরা পুলিশ সদস্যরা পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।

নিহত মোহাম্মদ আলম রাজাখালী ইউনিয়নের বদিউদ্দিনপাড়া এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে। তার বিরুদ্ধে ডাকাতি, চাঁদাবাজি, হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের ওপর নির্যাতনসহ বিভিন্ন আইনে সাতটি মামলা রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পেকুয়া থানার ওসি কামরুল আজম বলেন, মঙ্গলবার ভোরে টইটং ইউনিয়নের গুদিকাটা এলাকায় দুই ডাকাত দলের মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ডাকাতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালায়। 
এ সময় ডাকাত দলের সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুটতে ছুটতে গহীন অরণ্যে পালিয়ে যায়। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। 

এ সময় সহকারী পুলিশ সুপার (চকরিয়া সার্কেল) কাজী মো. মতিউল ইসলাম, পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান, এএসআই মেজবাহ উদ্দিনসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, পরে ঘটনাস্থল তল্লাশি করে তালিকাভুক্ত ডাকাত আলমের মরদেহ ও অস্ত্র-গুলি উদ্ধার করা হয়। আলমের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার