প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার বানাতে দলীয় নেতাকর্মীদের কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। রবিবার স্থানীয় সময় দুপুরে তিনি নিউইয়র্কে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন। এসময় তিনি এই নির্দেশ দেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তারেক রহমান বলেন, প্রার্থীরা এবং তাদের লোকজন যেভাবে ঘরে ঘরে গিয়ে ভোট চায় এবং ভোটার লিস্টের নামগুলো দিয়ে আসে, সেভাবে প্রবাসে যারা আছেন তাদের এনআইডি করতে হবে। আমাদের ধানের শীষে যাতে তারা ভোট দেয়, সেভাবে তাদের কনভিন্স করতে হবে। আপনাদের মনে রাখতে হবে অন্যারা ও কিন্তু বসে থাকবে না।
লাইভ অডিওতে নেতাকর্মীরা বলছিলেন, আপনার দেয়া নির্দেশ মতো কানাডাসহ উত্তর আমেরিকায় প্রতিটি ইউনিটের নেতাকর্মীদের সংযুক্ত করে ভোটার এবং তালিকা তৈরি করবো।
এর উত্তরে তারেক রহমান বলেন, এখানে একটা জিনিস বুঝতে হবে। শুধু নির্দেশ দিয়ে দিলে হবে না ভাই। কাকে, কোন এলাকায় দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, কে কতজনকে এনালিস্ট করেছে, কতজন ভোটার তৈরি করেছে, সেগুলোর হিসাবটা থাকতে হবে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাওয়া বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদায় জানান বিএনপির নেতাকর্মীরা। তারেক রহমান বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খোকনের মোবাইলে ফোন করেন। পরে লাউড স্পিকারে তারেক রহমানের কথা মনযোগ দিয়ে শোনেন অন্যান্য নেতাকর্মীরা।
এসময় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুল লতিফ সম্রাট, মহিলা দলের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক মমতাজ আলো, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপি নেতা রিয়াজ মাহমুদ, জিল্লুর রহমান জিল্লু, গিয়াস আহমেদ, সবুর খান, জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া, অলিউল্লাহ আতিকুর রহমান, আহবাব চৌধুরী খোকন, আবু সাঈদ আহমেদ, সাইদুর রহমান সাইদ, বদিউল আলম, ফয়েজ চৌধুরীসহ স্টেট বিএনপি ও অংগ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
তারেক রহমান নেতাকর্মীদের সঙ্গে ফোনালাপে বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশীদের ভোটার বানাতে বিএনপির নেতাকর্মীদের কাজ করতে হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রবাসী বাংলাদেশীদের ভোটার বানাতে নির্বাচন কমিশন ও বিদেশি দূতাবাস ও কনস্যুলেট অফিসে যোগাযোগ করতে হবে। শুধু নির্দেশ দিলাম তা নয়, সবাইকে কাজ করতে হবে। যাতে প্রবাসীরা বিএনপিকে ধানের শীষে ভোট দিতে পারে। যাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেভাবে কাজ করতে হবে।
তারেক রহমান আরও বলেন, ‘প্রবাসে ৫০ লাখ ভোটার আছেন। বাংলাদেশে আছে সাড়ে ১২ কোটি। প্রবাসীদের ভোটার করলে হবে ১৩ কোটি ভোটার। এটা বিরাট একটা ব্যাপার। এজন্য আপনাদের সবাইকে কাজ করতে হবে। নির্বাচন কমিশন কী নিয়ম করেছে সেগুলো বুঝেশুনে বসে সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ করতে হবে।’