গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার রতনপুর টেকপাড়া এলাকায় বুধবার (১৮ মার্চ) রাতে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুনের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় স্বামী, শ্বশুর ও শাশুরি পলাতক রয়েছে। নিহত হলেন পিরোজপুর জেলার মঠবাড়ীয়া থানার উত্তর বাদুরা গ্রামের মালেক ফরাজীর মেয়ে রেহেনা বেগম(২৩)। সে কালিয়াকৈর উপজেলার রতনপুর এলাকার জাহিদের বাসার ভাড়াটিয়া।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বগুরা জেলার পাথরকাটা থানার চরদোয়ানী গ্রামের আবুল কালামের ছেলে রাজু আহম্মেদের সাথে পিরোজপুর জেলার মঠবাড়ীয়া থানার উত্তর বাদুরা গ্রামের আব্দুল মালেক ফরাজীর মেয়ে রেহেনা সাথে ৪ বছর আগে বিয়ে হয়। পরে উপজেলার সফিপুর রতনপুর রোডের টেকপাড়া এলাকায় এক বছর আগে জাহিদের বাসায় ভাড়া থেকে স্থানীয় পোশাক করাখানায় চাকরি করতেন। গতকাল বুধবার রাতে কাজ শেষে বাসায় আসার পর তার স্বামী রাজু আহম্মেদকে মাদকাসক্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া হয়। পরে স্বামী, শ্বশুর ও শ্বাশুরী রেহেনাকে বেধড়ক মারধর করে। এক পর্যায়ে রেহেনা অচেতন অবস্থায় পরে থাকে। পরে তাকে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
ঘাতক স্বামী লাশ নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ খবর পেয়ে মাওয়া ফেরিঘাট থেকে লাশটি উদ্ধার করে কালিয়াকৈর থানায় নিয়ে আসেন। পরে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ লাশটি গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করেন। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী রাজু , শ্বশুর আবুল কালাম ও শাশুড়ি হ্যাপি বেগম পলাতক রয়েছে। নিহতের পিতা বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মেয়ের বাবা আ.মালেক ফরাজী জানান, আমার মেয়েকে র্নিমমভাবে হত্যা করেছে। আমি মেয়ে হত্যার বিচার চাই।
গাজীপুরের সহকারি পুলিশ সুপার মো.আল মামুন জানান, এ ঘটনায় কালিয়াকৈর থানার মেয়ের বাবা বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। ময়নাতদন্তের পরে জানা যাবে হত্যা না আত্মহত্যা।
বিডি-প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ