মশা, মাছি আর দুর্গন্ধে অতিষ্ট লালমনিরহাট পৌরবাসী। বেহাল ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও মশক নিধন স্প্রে না করায় ডেঙ্গু রোগ ছড়ানোর আতঙ্কে জীবনযাপন করছে পৌর এলাকাবাসী। গত বছর লালমনিরহাটে ১২০ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও একজনের মৃত্যু হলেও এবার ডেঙ্গু প্রতিরোধে আগাম কোন উদ্যোগ নেয়নি পৌর কর্তৃপক্ষ। যদিও তা মানতে নারাজ পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম রিন্টু ।
পৌরসভার অধিকাংশ ড্রেনগুলো ভাঙাচোরা। কোথাও আবার ড্রেনের মুখ সম্পূর্ণ উন্মক্ত। এতে করে মশা, মাছির উপদ্রব তো আছেই পাশাপাশি দুর্গন্ধে অতিষ্ট পৌরবাসী। উন্মুক্ত ড্রেন থেকে মাটি তুলে রাখা হচ্ছে সড়কের পাশে। চলাচলের অসুবিধার সাথে বাড়ছে দুগর্ন্ধ। আর প্রতিদিন ময়লার ভাগার পরিস্কার না করায় ময়লার স্তুপে ভিড় বাড়ছে মশা-মাছির। এতে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা পিছু ছাড়ছে না অনেকের। আর সামান্য বৃষ্টিতে শহরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ার ভোগান্তি তো আছেই। সরকার নির্ধারিত পৌর ট্যাক্স দেওয়ার পরেও সুবিধা পাচ্ছেন না পৌরবাসী।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট পৌরসভার মেয়র রিয়াজুল ইসলাম রিন্টু অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযান চালু আছে বলে দাবি করেছেন।
এদিকে ডেঙ্গু মোকাবেলায় আগামা প্রস্তুতির কথা জানাতে চাইলে লালমনিরহাট সিভিল সার্জেন ডা. নির্মলেন্দু রায় জানান, ইতিমধ্যেই ডেঙ্গু শনাক্তের জন্য ৫শ কিট এসেছে তা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পর্যায়ক্রমে সরবরাহ করা হয়েছে। লালমনিরহাটে এখন পর্যন্ত কোন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়নি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল