পাবনায় প্রকাশ্য দিবালোকে এক ব্যবসায়ীর নগদ প্রায় ছয় লাখ টাকা ও আরও সাত লাখ টাকার চেক ছিনতাই করে পালানোর সময় জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রুহুল আমিন ও তার তিন অনুসারীকে আটক করেছে পুলিশ। রবিবার দুপুরে জেলার সাঁথিয়া উপজেলার ভুলবাড়িয়া ইউনিয়নের বাজার থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হল- পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি রুহুল আমিন (২৭) তার অনুসারী রানা হক (২৭) এবং শিপন হোসেন (২৫)।
আতাইকুলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রবিবার দুপুরে সাঁথিয়া এলাকার সুপরিচিত ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম নগদ পাঁচ লাখ পঁচাশি হাজার আটশত টাকা ও সাত লক্ষ টাকার চেক অগ্রণী ব্যাঙ্কের আতাইকুলা শাখায় জমা দিতে যাচ্ছিলেন। পথে বৃহঃস্পতিপুর বাজার এলাকায় ভিড়ের মধ্যে রুহুল আমিন ও তার অনুসারীরা ছুরি দিয়ে আঘাত করে তার নিকট থেকে টাকা ও চেক ছিনিয়ে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় ব্যবসায়ী সিরাজুলের চিৎকারে স্থানীয়রা রুহুল ও তার তিন সঙ্গীকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
ওসি আরও জানান, আটক যুবকদের আতাইকুলা থানায় আনা হয়েছে। তাদের নিকট থেকে নগদ চার লাখ বিশ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি টাকা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
এ ব্যপারে আতাইকুলা থানায় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী সিরাজুল বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।
ছিনতাইয়ের অভিযোগে ছাত্রলীগ সহ-সভাপতির আটক হওয়ার ঘটনাকে দুঃখজনক অভিহিত করে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম বলেন, কারো ব্যক্তিগত অপরাধের দায় সংগঠন নেবে না। এক্ষেত্রে, অপরাধে যুক্ত থাকার প্রমাণ পেলে তাকে ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে।
এদিকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত ব্যবসায়ীর ছেলে মুসাকে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ভুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি আবু ইউনুস জানান, ছাত্রলীগকে ভাঙ্গীয়ে রুহুল আমিন এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে।
পাবনা সদর সাকেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ছিনতাইয়ের অভিযোগে তাদের আটক করা হয়। এছাড়াও ছাত্রলীগ নেতা রুহুল আমীনের বিরুদ্ধে থানা একাধিক অভিযোগও রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার