বিশ্ব যখন করোনাভাইরাস এর সংক্রমণ প্রতিরোধে হিমশিম খাচ্ছে তখন ঠাকুরগাঁওয়ের কিছু ব্যবসায়ী সরকারি নির্দেশ অমান্য করে বিকাল ৫টার পরেও দোকান খোলা রাখছে। এতে দোকানের সামনে জনসমাগমের কারণে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে।
জেলার পীরগঞ্জ, বালিয়াডাঙ্গী, রাণীশংকৈল এমনকি সদর উপজেলার বিভিন্ন বাজার গুলোতেও বিকাল ৬টা পরেও দেখা যায় সামাজিক দূরত্ব না মেনেই দোকান-পাট খোলা রেখে ক্রয়-বিক্রয় করা হচ্ছে। এছাড়াও বাজারগুলোতে অনেকে মুখে মাস্ক ও গ্লোবস ছাড়াই ক্রয়-বিক্রয় করছে। সরকারি বিধিনির্দেশকে তোয়াক্কা না করেই অনেকে এভাবে ব্যবসায়ীক কার্যক্রম পরিচালনা ও অযথা জনসমাগম ঘটাচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, দোকান খোলা না রাখলে তারা সংসার চালাবে কিভাবে। তাই তারা অর্থের জন্য এভাবে দোকান-পাট খোলা রেখে ব্যবসায়ীক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
অন্যদিকে দেখা গেছে, যখন প্রশাসনের কর্মকর্তারা জনসমাগম এড়াতে বাজারগুলোতে মনিটরিং করতে গেলেই ব্যবসায়ীরা তাড়াহুড়ো করে দোকান-পাট বন্ধ করে বা পালিয়ে যায়। প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ চলে যাওয়ার পরক্ষণেই আবার বাজারগুলোতে শুরু হয় জনসমাগম।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম বলেন, বাজারগুলোতে জনসমাগম এড়াতে সার্বক্ষণিক কাজ করছেন জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ সেনাবাহিনীর সদস্যরা। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দোকানপাট বন্ধ ও জনসমাগম এড়াতে প্রতিদিন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। যারা নিয়ম ভঙ্গ করছে তাদেরকে প্রতিদিন আর্থিক জরিমানা করা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ