কুমিল্লার লাকসামে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া আলমগীর হোসেন (৪০) নামে এক যুবকের নমুনার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। মঙ্গলবার (১৬ জুন) ওই যুবক এবং একজন চিকিৎসকসহ নতুন ৬ জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এ নিয়ে উপজেলায় সর্বমোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৫৩ জন। উপজেলা স্বাস্থ্যবিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, গত ৭ জুন বড় বিজরা এলাকার আলমগীর হোসেন নামক যুবক করোনা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। সেখানে তার নমুনা সংগ্রহ শেষে এক্স-রে করতে বলা হলে তিনি স্থাণীয় একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে গেলে আকস্মিক মারা যান। আজ ওই ব্যক্তির নমুনার রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
নতুন আক্রান্ত ৬ জন ব্যক্তির মধ্যে ওই যুবক, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ও করোনা র্যাপিড রেসপন্স টিমের অন্যতম এক সদস্য, পশ্চিমগাঁওয়ের ৫৩ বছর বয়সী ব্যক্তি, দক্ষিণ লাকসামের ৪৯ বছর বয়সী ব্যক্তি এবং সাহাপাড়ার ৫০ ও ৩৬ বছর বয়সী দুই ব্যক্তি রয়েছেন। এদিকে, সোমবার (১৬ জুন) দুই নারীর পর মঙ্গলবার আরও এক যুবকের দ্বিতীয় নমুনার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।
লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ও করোনা র্যাপিড রেসপন্স টিমের অন্যতম সদস্য ডা. আবদুল মতিন জানান, উপজেলায় এই পর্যন্ত ৮৭০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৭৮৮ জনের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। প্রাপ্ত রিপোর্টের মধ্যে নতুন ৬ জনসহ সর্বমোট ১৫৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
৬৩৫ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। এখনো ৮২ জনের রিপোর্ট প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এখানে করোনায় মারা গেছে দুইজন। সুস্থ হয়েছেন ওঠেছেন ১৬ জন।
অন্যদের নিবিড় চিকিৎসা দিয়ে আসছেন করোনা র্যাপিড রেসপন্স টিমের সদস্যরা।
লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আবদুল আলী বলেন, লাকসামে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলেছে, যা উদ্বেগজনক। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হলে স্ব স্ব অবস্থান থেকে সকলকে সতর্ক হতে হবে। তিনি সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন।
বিডি-প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ