ঢাকার ধামরাইয়ে বিয়ের দাবিতে তিনদিন ধরে 'প্রেমিক' পুলিশ সদস্যের বাড়িতে অনশন করা কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছে পুলিশ। মঙ্গলবার গভীর রাতে তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়।
এদিকে, বিয়ের প্রলোভনে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে ওই তরুণী অনশনে বসলে পুলিশ সদস্যের বাড়ির লোকজন ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে যায় বলে জানা গেছে।
জানা যায়, ধামরাইয়ের সানোড়া ইউনিয়নের বাসনা গ্রামের মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে পুলিশ সদস্য সাদ্দাম হোসেন মোবাইলের রং নাম্বারে কথা বলে কলেজ ছাত্রী ধামরাইয়ের নান্নার ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের আব্দুল লতিফ নাতুর মেয়ে নাসরিন আক্তারের সাথে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে তুলেন। এভাবে ওই পুলিশ সদস্য বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে দৈহিক সর্ম্পক গড়ে তুলেন। তারা বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্র ও আবাসিক হোটেলে গোপন অভিসারে যান।
কয়েকদিন আগে প্রেমিক সাদ্দাম মোবাইল ফোনে এই প্রেমিকাকে বিয়ে করবে না জানায়। এরপর সাদ্দামের ছুটিতে বাড়িতে আসার খরব পান। খবর পেয়ে বিয়ের দাবি নিয়ে প্রেমিকা নাসরিন সাদ্দামের বাড়ি বাসনাতে এসে উঠেন। নাসরিনকে দেখে পুলিশ সদস্য সাদ্দাম পিছনের দরজা দিয়ে লুঙ্গি পড়েই পালিয়ে যান।
আরও জানা যায়, তিনদিন ধরে ওই কলেজ ছাত্রীর অনশনের খবর পেয়ে ধামরাই থানা পুলিশ মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে পুলিশ সদস্যের বাবা মোজ্জামেল হক জানান, হঠাৎ করে এ মেয়েটি তার ভাবিকে নিয়ে আমাদের বাড়িতে এসে উঠে এবং তার ভাই র্যাবে চাকরি করে আমাকে থানায় নিয়ে জেলের ভাত খাওয়াবে বলে হুুমকি দেয়। অথচ আমার ছেলের সাথে তার কোনো সর্ম্পক আছে কিনা তা আমি জানি না।
ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম