অবশেষে এক মাস পর বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা সদরের রায়েন্দা শহরতলীর সেই জলাবদ্ধতা নিরসনের উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। তিন শতাধিক পরিবার এক মাস ধরে পানিবন্দী অবস্থায় থাকার পর গতকাল মঙ্গলবার (১৬ জুন) বাংলাদেশ প্রতিদিনে সংবাদ প্রকাশিত হলে টনক নড়ে প্রশাসনের।
এরপর আজ বুধবার সকাল থেকেই উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে পানি নিষ্কাশনের জন্য বাঁধ কেটে পাইপ বসানোর কাজ শুরু করে বাঁধ বাস্তবায়নবারী সংস্থা উপকূলীয় বাঁধ উন্নয়ন প্রকল্পের (সিইআইপি)।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সরদার মোস্তফা শাহিন জানান, এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে থানার ঘাটের পুরনো ড্রেনের মুখ থেকে বাঁধ কেটে পাইপ বসানো হয়েছে। এতে কিছুটা হলেও জলাবদ্ধতা নিরসন হবে।
ইউএনও জানান, গতকাল মঙ্গলবার দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদন পত্রিকার সংবাদ দেখে সিইআইপি’র কর্মকর্তাদের নিয়ে জলাবদ্ধ এলাকা পরিদর্শন করে মানুষের অবর্ণনীয় দুর্ভোগের দৃশ্য চোখে পড়ে।
সিইআইপির প্রকৌশলী মো. দেলোয়ার হাসেন জানান, রায়েন্দা শহর ও আশপাশ এলাকার পানি নিষ্কাশনের জন্য প্রকল্পের মাধ্যমে ১০টি ড্রেন নির্মান করা হবে। বর্ষা মৌসুমের পরই ড্রেনের কাজ শুরু হবে।
উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে সৃষ্ট বৃষ্টি পানি জমে রায়েন্দা সরকারি পাইলট হাইস্কুলের পশ্চিম পাশ থেকে রায়েন্দা সরকারি খাদ্য গুদাম পর্যন্ত এলাকাটি জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। রায়েন্দা শহর রক্ষা বাঁধ নির্মান করায় ওই এলাকার পানি নিষ্কাশনের একমাত্র ড্রেনটির মুখ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়।
যার ফলে তিন শতাধিক পরিবার প্রায় একমাস ধরে পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করে আসছিল। গতকাল মঙ্গলবার (১৬ জুন) বাংলাদেশ প্রতিদিনে পানিবন্দী এসব মানুষের দূর্দশার চিত্র তুলে ধরে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
বিডি-প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ