নেত্রকোনার কলমাকান্দা পাইলট মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইলিয়াস হোসেন কোকিলের বিরুদ্ধে চিঠি গোপন সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিদ্যালয়টির ২৯ জন শিক্ষক ও কর্মচারীদের আত্মীকরণের লক্ষ্যে চলতি বছরের গত ৬ জানুয়ারি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ফেরদৌসী আখতার স্বাক্ষরীত একটি চিঠি বিদ্যালয়ের ঠিকানায় পাঠান। আর ওই চিঠি ছয় মাস ধরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোপন করে রাখেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষক ও কর্মচারীদের অভিযোগ, চিঠিটি প্রধান শিক্ষক উদ্দেশ্যমূলকভাবে গোপন করে ২৯ জন শিক্ষক ও কর্মচারীদের ভবিষ্যত অনিশ্চয়তার মধ্যে ঠেলে দিয়েছেন।
এছাড়াও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি বিদ্যালয়ের প্রায় ১হাজার ৫ শত শিক্ষার্থীর কাছ থেকে পরিচয় পত্র বাবদ প্রতিজনের কাছ থেকে ১২০ টাকা করে আদায় করেন। আদায়কৃত টাকা থেকে পরিচয় পত্রের টাকা পরিশোধ না করে তিনি স্কুল তহবিলের টাকা থেকে তা পরিশোধ করেন।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি চন্দন বিশ্বাস ইলিয়াস হোসেনকে দুর্নীতিবাজ শিক্ষক উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি সভাপতি থাকাকালীন সময়ে ৪০ লাখ টাকা বিদ্যালয়ের তহবিলে রেখে আসি। বিদ্যালয় থেকে বের হয়ে আসার অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি ওই টাকা গ্রাস করেছেন। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পরিচয়পত্র বাবদ ১২০ টাকা করে মোট কয়েক লাখ আদায় করেন। কিন্তু কার্ডের টাকা পরিশোধ করেন বিদ্যালয় তহবিল থেকে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে বলেও জানান তিনি।
চিঠি গোপনের অভিযোগ অস্বিকার করে প্রধান শিক্ষক ইলিয়াস হোসেন বলেন, তিনি হাতে এমন কোন চিঠিই পাননি। শিক্ষার্থীদের পরিচয় পত্রের কার্ড বাবদ যে টাকা আদায় করা হয়েছে তা থেকেই কার্ডের টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সোহেল রানা বলেন, আপনিও যেমন শুনেছেন আমিও তেমনই শুনেছি। হাতে কোন অভিযোগ এখনো পাইনি। তবে এরকম হয়ে থাকলে বিষয়টি সত্যিই শাস্তিযোগ্য অপরাধ এবং এটি তদন্ত করে দেখবেন বলেও জানান তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ