বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বারপাইকা গ্রামে খাবার চাওয়ার অপরাধে বৃদ্ধা শাশুড়িকে নির্যাতনের ঘটনায় আটক পুত্রবধূ শিখা রানীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বুধবার দুপুরে শিখা রানীকে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এর আগে ওই ঘটনায় গত মঙ্গলবার রাতে নির্যাতিতা বৃদ্ধা গোনেদা বেপারীর নাতি চন্দন সরকার বাদী হয়ে শিখা রানীকে আসামি করে আগৈলঝাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
সংশ্লিষ্ট খবর: খাবার চাওয়ায় স্ত্রীকে সাথে নিয়ে বৃদ্ধা মাকে নির্যাতন!
আগৈলঝাড়া থানার ওসি মো. আফজাল হোসেন জানান, খাবার চাওয়ার অপরাধে এক বৃদ্ধাকে নির্যাতনের খবর পেয়ে তিনি গত মঙ্গলবার রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বৃদ্ধার সাথে কথা বলেন এবং তার চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ওষুধ ও খাদ্য সামগ্রী সহায়তা দেন তাকে। বৃদ্ধা পুলিশকে জানায়, গত সোমবার দুপুরে খাবার চেয়ে না পেয়ে তার বয়স্কভাতার টাকা ফেরত চান পুত্রবধূর কাছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শিখা রানী লাঠি দিয়ে তার ডান হাতে আঘাত করে। এতে তিনি রক্তাত্ব জখম হন। এর দুই মাস আগে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে ওই বৃদ্ধাকে বাসার বাইরে একটি মন্দিরের সামনে ফেলে রাখে পুত্রবধূ।
ওসি আফজাল জানান, একজন শতবর্ষী নারীকে নির্যাতন অমানবিক। বৃদ্ধার নাতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার রাতে থানায় মামলা হয়েছে। ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে অভিযুক্ত শিখা রানীকে বুধবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল