১৯৮৮ সালের ভয়াবহ বন্যায় বিলীন হয়ে যাওয়া বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার দক্ষিণ বয়ড়া-ঠাকুরপাড়া বুড়ামেলা ভায়া হাটকরমজা সড়কটি ৩০ বছর পর মাটি ভরাট করে চলাচলের উপযোগী করতে না করতেই আবারও সুখদহ নদী গিলে ফেলতে বসেছে। সড়কটি রক্ষায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখনি প্যারাসাইটিং না করলে আবারও বিলীন হয়ে যেতে পারে সড়কটি।
১৯৮৮ সালের ভয়াবহ বন্যায় মানচিত্র থেকে হারিয়ে উপজেলার জোড়গাছা ইউনিয়নের দক্ষিণ বয়ড়া-ঠাকুরপাড়া বুড়োমেলা ভায়া হাটকরমজা পর্যন্ত সড়ক। এরপর দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর চলতি বছরের মে-জুন মাসে পানি উন্নয়ন বোর্ড সুখদহ নদী খনন ও ওই রাস্তাটিতে মাটি ভরাট করে চলাচলের উপযোগী করে। সম্প্রতি অতি বর্ষণ ও বন্যায় ওই রাস্তাটি সুখদহ নদীর অব্যাহত ভাঙনে আবারও মানচিত্র থেকে মুছে যেতে বসেছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, বগুড়া-১ আসনের প্রয়াত সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নানের প্রচেষ্টায় দীর্ঘ ৩০ বছর পর সড়কটি মাটি কেটে চলাচলের উপযোগী করা হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় আবারও সুখদহ নদীর পেটে যেতে বসেছে ওই রাস্তাটি। রাস্তাটিতে মাটি ভরাটের সময় এলাকাবাসী রাস্তাটি রক্ষার জন্য প্যারাসাইটিং করার দাবি তোলে। এলাকাবাসীর দাবি আমলে না নিয়ে ওই রকম ফেলে রাখায় রাস্তাটি সুখদহ নদীর অব্যাহত ভাঙনে বিলীন হয়ে যেতে বসেছে।
ওই উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষের পাশাপাশি পথচারি ও স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীদের প্রায় ৬ কিলোমিটার পথ ঘুরে ঘুরে যাতায়াত করতে হতো।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ঠাকুরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা তোজাম্মেল হক, ছফুর আলী, ডা. শাফি, হাটকরমজা এলাকার সাইদুর রহমান, গনসারপাড়া এলাকার শাহাদতজামান লিটন, পশ্চিম করমজা গ্রামের শাজাহান আলী জানান, সুখদহ নদীর তীরবর্তী রাস্তাটি রক্ষার জন্য এলজিইডিকে একাধিক বার প্যারাসাইটিং এর কাজ করতে বলা হলেও তা না করায় রাস্তাটি এখন বিলীন হওয়ার পথে।
বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা প্রকৌশলী মো. রাশেদ ইমলান জানান, রাস্তাটি রক্ষার জন্য এবং প্যারাসাইটিং করার জন্য বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে খুব শ্রীঘ্রই কাজটি করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন