বরিশাল-বানারীপাড়া-স্বরূপকাঠি সড়কের উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়া স্টিল ব্রিজে যাত্রীবাহী বাস চাপায় স্থানীয় একটি মসজিদের ইমাম গণি সরদার (৮০) নিহত এবং পূঁজা নামে এক স্কুলছাত্রী গুরুতর আহত হয়েছে। রবিবার বেলা ১২টার দিকে দুর্ঘটনায় নিহত গণি সরদার ওই উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়া ইউনিয়নের শংকরপুর গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশের উপ-পরির্দশক পদ থেকে অবসর গ্রহণের পরে প্রথমে গুঠিয়া জামে মসজিদে এবং বর্তমানে গুঠিয়া ইউনিয়ন পরিষদ জামে মসজিদে ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন গণি সরদার। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় সড়কে গাছের গুড়ি ফেলে অবরোধ করলে দুই প্রান্তে বিপুল সংখ্যক যানবাহন আটকা পড়ে। পুলিশের বিচারের আশ^াসে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে অবরোধ তুলে নেয় স্থানীয়রা।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পূঁজা পার্শ্ববর্তী বাবুগঞ্জ উপজেলার মাধবপাশা ইউনিয়নের মুশুরিয়া গ্রামের অসিম দাসের মেয়ে ও গুঠিয়া মহেশচন্দ্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বরিশাল থেকে বানারীপাড়া ও স্বরূপকাঠিগামী একটি যাত্রীবাহী বাস গুঠিয়া স্টিল ব্রিজ অতিক্রমকালে ব্রিজের রেলিংয়ে পথচারী গণি সরদার ও পূঁজাকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই গণি সরদার নিহত হয়। আশংকাজনক অবস্থায় পূঁজাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনার বিচার দাবিতে ওই সড়কে গাছের গুড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে স্থানীয়রা। ফলে গুঠিয়া ব্রিজের দুপ্রান্তে বিপুল সংখ্যক যানবাহন আটকা পড়ে। খবর পেয়ে বানারীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ, বরিশাল মেট্রোপলিটনের এয়ারপোর্ট থানা ও উজিরপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত করে বিচারের আশ্বাস দেন। এরপর বিকেল সাড়ে ৪ ঘন্টা পর অবরোধ তুলে নিলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
উজিরপুর মডেল থানার ওসি জিয়াউল আহসান বলেন, দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার সাথে সাথে থানা থেকে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে বরিশালে প্রেরণ করে। বাসটির চালক ও হেলপারের বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে রাখা স্থানীয়দের শান্ত করে তাদের বিচারের আশ্বাস দিলে তারা অবরোধ তুলে নেয়। বর্তমানে ওই সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় বাসটি আটক করা হলেও চালক ও হেলপার পালিয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরসহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন ওসি।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন