দেশে ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতিতে যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছেন তাদের পাশে ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, করোনা পর দেশের প্রতিটি জেলায় প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল থেকে সাংবাদিকদের অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। কারণ বর্তমান সরকার গণমাধ্যমের প্রতি অত্যন্ত আন্তরিক। তাই দেশের প্রতি গণমাধ্যম কর্মীদেরও কিছু দায়ীত্ব রয়েছে। এ পেশার মান বজায় রাখতে গণমাধ্যম কর্মীদের আরও সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। দেশের স্বার্থে সমস্যা, সম্ভবনা ও অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে হবে।
আজ রবিবার দুপুরে রাঙামাটি সার্কিট হাউস সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জেলার স্থানীয় সাংবাদিকদের অংশগ্রহণে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল আয়োজিত 'মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, হলুদ সাংবাদিকতা পরিহার'- শীর্ষক মতবিনিময় সভা ও বই বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল এর সচিব (যুগ্ম সচিব) শাহ আলম, রাঙামাটি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ছুফি উল্লাহ, রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হক উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের সাংবাদিকদের অর্থনৈতিক মুক্তিসহ যাবতীয় সমস্যা দূর করতে হবে। সাংবাদিকতার মূল প্রাণ হলো অনুসন্ধানী রিপোর্ট। অনুসন্ধানী রিপোর্ট করলে যেমন সমাজের অসামঞ্জস্যগুলো উঠে আসবে তেমনি পরিবর্তনের প্রত্যয় ঘটবে।
তিনি বলেন, গণমাধ্যম বর্তমানে অনেক চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে দিন পার করছে। এর মূল কারণ হলো পেশাদারিত্বের অভাব। অযোগ্য লোকেরা এ পেশায় ভর করলে মহান পেশাটা কলুষিত হবে। সে জন্য আমাদের কিছু নৈতিক দায়িত্ব রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ