বগুড়ার শেরপুরে বিয়ের ৪ মাসের মাথায় মিতু খাতুন (১৭) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার সকালের দিকে উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের ফুলজোড় গ্রামস্থ স্বামীর বাড়ির একটি শয়নকক্ষ থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়।
পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। এদিকে ঘটনাটির খবর পেয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শেরপুর সার্কেল) গাজীউর রহমান, শেরপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম শহিদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
জানা যায়, উপজেলার ফুলজোড় গ্রামের জুবায়ের খানের সঙ্গে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে টাঙ্গাইল জেলার সদর উপজেলার মিজানুর রহমানের মেয়ে মিতু খাতুনের পরিচয় ঘটে। সেই সঙ্গে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। একপর্যায়ে বিগত চারমাস আগে উভয় পরিবারের সদস্যদের না জানিয়ে পালিয়ে বিয়ে করেন তারা। পরবর্তীতে ছেলের পরিবার মেনে নিলেও মিতুর পরিবার মেনে নিতে অস্বীকার করেন। বিষয়টি তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মতবিরোধ ও পরিবারে অশান্তি দেখা দেয়।এরই একপর্যায়ে শুক্রবার (০৫ মার্চ) দুপুরে খাবার খেয়ে গৃহবধূ মিতু শয়নকক্ষের দরজা-জানালা বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়েন। পরবর্তীতে দীর্ঘ চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার পর ঘুম থেকে জেগে না উঠায় স্বামী পরিবারের লোকজন তার নাম ধরে একাধিকবার ডাকাডাকি করেন। কিন্তু কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে গৃহবধূ মিতুকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে থানায় খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে নিহতের লাশ উদ্ধার করেন।
শেরপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, শয়নকক্ষের তারের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়। তবে প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। তাই লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের বগুড়ায় শজিমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার গেলেই কেবল মৃত্যুর কারণ সঠিক করে বলা সম্ভব হবে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর