ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার ২ নং রামভদ্রপুর ইউনিয়ন কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের স্থান নির্ধারণে অনিয়মের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার ওই মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি উপজেলার শেরপুর রোডস্থ মুনলাইট কমপ্লেক্স থেকে শুরু হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এরপর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। উপজেলার রামভদ্রপুর ইউনিয়নের খড়িয়াপাড়া গ্রামের মো. ইব্রাহিম রাব্বানীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত মিছিলে চরগোয়াডাঙ্গা, চরনিয়ামত পূর্ব, বাঘেধরা, গোয়াডাঙ্গা, জাটিয়া, গায়রা, মিচকিপাড়া, খড়িয়াপাড়া ও দেওখালী গ্রামের শতাধিক লোক উপস্থিত ছিলেন।
অভিযোগে প্রকাশ, ইউপি চেয়ারম্যান রুকনুজ্জামান তার ব্যক্তিগত স্বার্থে ইউনিয়নের এক কোণায় নিজ এলাকায় ইউনিয়ন কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ করতে চাচ্ছেন। এর প্রতিবাদে ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে খড়িয়াপাড়া গ্রামের মো. ইব্রাহিম রাব্বানী বাদী হয়ে লিখিত অভিযোগ করেন।
জানা যায়, সর্বপ্রথম বাঘেধরা ও গোয়াডাঙ্গা মৌজার মধ্যস্থলে পূর্ব-পশ্চিম বরাবর পাকা সড়কের উত্তর পার্শ্বে ২ নং রামভদ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের অফিস স্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান শামছুল হক রামনাথপুরে তার নিজ বসতভিটার পাশে একটি ছোট্ট টিনশেড ঘরে পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা করেন। বর্তমান চেয়ারম্যান রুকনুজ্জামানও ওখানেই পরিষদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন এবং ওখানেই স্থায়ী ইউনিয়ন কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের প্রস্তাবনা পাঠানোসহ চেষ্টা তদবির করে যাচ্ছেন।
অথচ শর্ত করা হয়েছিল, স্থায়ীভাবে পরিষদের কোন ভবন হলে বাঘেধরা ও গোয়াডাঙ্গা মৌজার মধ্যস্থলে পূর্ব-পশ্চিম বরাবর পাকা সড়কের উত্তর পার্শ্বেই প্রতিষ্ঠিত হবে। এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান রুকনুজ্জামান বলেন, এটা শুধু শুধু বিরোধিতা করা ছাড়া আর কিছু নয়। কারণ, রামনাথপুর ও বাঘেধরা একই ওয়ার্ড। এখানে বহু আগে থেকে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম চলে আসছে। এখানে চতুর্দিক থেকে পাকা সড়কের সংযোগ রয়েছে। এছাড়া একটি বাজার, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্কুলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কাজেই এখানে ইউনিয়ন কমপ্লেক্স হওয়াতে কোনো সমস্যা নেই।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে সোমবার দুপুর ১২টায় উভয়পক্ষের শুনানির কথা থাকলেও বিবাদী ইউপি চেয়ারম্যান রুকনুজ্জামান অনুপস্থিত থাকায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার বাদীপক্ষের উপস্থিত সাধারণ জনগণকে বিষয়টি শীঘ্রই সমাধানের আশ্বাস দিয়ে বিদায় করেন।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন