করোনার কারণে পরিবহন সংকট এবং ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে গত দুইদিনের বৃষ্টিপাতের ফলে ক্ষতির মুখে পড়েছে দিনাজপুরের বীরগঞ্জের সবজি চাষিরা। পণ্যের ক্রেতার চাহিদা না থাকায় এবং বিভিন্ন জাতের সবজিতে পোকা আক্রমণের পাশাপাশি পচন রোগে আক্রান্ত হওয়ায় বিপাকে রয়েছেন তারা।
কৃষকরা জানান, গত দুইদিনের বৃষ্টিতে বর্ষাকালীন খরিপ-১ মৌসুমের ত্রিপল-১ জাতের ফুলকপি-বাঁধাকপিতে পচন ধরেছে। সপ্তাহ খানেক আগেও ফুলকপি ১০০০-১২০০ টাকা মণ দরে বিক্রয় হলেও এখন ৮০০ টাকা মণ।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, বীরগঞ্জ উপজেলায় এ বছর প্রায় ২০০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ৩ হেক্টর জমিতে বর্ষাকালীন ফুলকপি এবং ২.২৫ হেক্টর জমিতে বাঁধাকপি চাষ করা হয়েছে।
সবজি চাষি বীরগঞ্জের সাতোর ইউপির দক্ষিণ প্রাণনগর গ্রামের মো. ইব্রাহিম জানান, এ বছর ২০ শতক জমিতে ফুলকপি আবাদ করেছি। যেহেতু এটি শীতকালীন সবজি। বৃষ্টি সহ্য করতে পারে না। তাই দুই দিনের বৃষ্টিপাতে ফলনে পচন ধরছে। করোনা এবং বৃষ্টিপাতের ফলে গ্রাহক না থাকায় দামও কমেছে। সপ্তাহ খানেক আগে ১০০০-১২০০ টাকা মণ দরে বিক্রয় করলেও এখন ৮০০ টাকা মণ। ফলে লাভ হওয়ার চেয়ে লোকসানের সম্ভাবনা বেশি।
একই কথা জানিয়েছেন সবজি চাষি আহম্মদ আলী জুয়েল। তিনি বলেন, পরিবহন সংকট এবং দুই দিনের বৃষ্টিতে সবজি নিয়ে কৃষকের মাথায় হাত পড়েছে। বিশেষ করে কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য সরাসরি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠাতে না পেরে মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত।
বীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবুরেজা মো. আসাদুজ্জামান জানান, সবজি দ্রুত পচনশীল একটি পণ্য। তারপর বৈশ্বিক মহামারি করোনা এবং আবহাওয়ার বৈরিতা লেগে আছে। এরপরেও কৃষি দপ্তরের সার্বিক সহযোগিতায় সবজি চাষ এখনো লাভজনক পণ্যতে পরিণত হয়েছে। ধারাবাহিকতা রক্ষায় গত দুইদিনের বৃষ্টিতে কৃষকদের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতে মাঠে রয়েছে কৃষি দপ্তরের কর্মকর্তারা।
বিডি প্রতিদিন/এমআই