২১ জানুয়ারি, ২০২২ ২১:০০

চুরি হওয়া মোটরসাইকেল ২৭ দিন পর ফেরত পেয়ে আপ্লুত মালিক

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

চুরি হওয়া মোটরসাইকেল ২৭ দিন পর ফেরত পেয়ে আপ্লুত মালিক

বরিশাল থেকে চুরি হওয়া একটি মোটরসাইকেল খুলনার রূপসা থানা পুলিশ উদ্ধারের পর ফেরত পেয়েছেন এর মালিক শাকিল গাজী। চুরির ২৭ দিন পর গত বৃহস্পতিবার দুপুরে মোটরসাইকেলটি ফেরত পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন শাকিল গাজী। এর আগে গত ১৬ জানুয়ারী রাতে খুলনার রূপসা থানার টহল পুলিশের এএসআই খন্দকার হুমায়ুন সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরার সময় ওই মোটরসাইকেলটি আটক করেন। তবে কাগজ আনার কথা বলে সটকে পড়েন মোটরসাইকেলে থাকা দুই যুবক। 

শাকিল গাজী বলেন, এটা অবিশ্বাস্য। এই গাড়ি ফেরত পাবো এটা কখনও ভাবিনি’। সৃষ্টিকর্তা আমার প্রতি সহায় হয়েছেন। আমি রূপসা থানা পুলিশের কাছে কৃতজ্ঞ। 

তিনি আরও বলেন, চাকরির সুবিধার্থে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ধার করে গত সেপ্টেম্বরে ৮১ হাজার টাকায় একটি পুরনো পালচার মোটরসাইকেল ক্রয় করেন। গত ২৩ ডিসেম্বর রাতে নগরীর মুসলিম গোরস্থান রোড ধোপাবাড়ি এলাকার আল হেরা নিবাসের ভাড়া বাসার প্রধান ফটক এবং গ্যারেজের গেটের তালা ভেঙে মোটর সাইকেলটি চুরি হয়ে যায়। এ ঘটনায় পরদিন ২৪ ডিসেম্বর কোতয়ালী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি। মোটরসাইকেল চুরির পর হতাশ এবং বিমর্ষ হয়ে পড়ি। ছেড়ে দেই মোটরসাইকেলে চেপে চাকরি করার আশা। 

হঠাৎ গত ১৯ জানুয়ারী খবর পান খুলানার রূপসা থানা পুলিশ তার চুরি যাওয়া মোটর সাইকেলটি আটক করেছে। যেন মরা গাঙে পানি আসে শাকিলের। বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। পরে জানতে পারেন গত ১৬ জানুয়ারী রাতে রূপসা থানার টহল পুলিশের এএসআই খন্দকার হুমায়ুন সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরার সময় ওই মোটর সাইকেলসহ ২ জন যুবকের গতিরোধ করেন। তারা মোটরসাইকেলটি নিজেদের দাবি করে কাগজ আনার কথা বলে সটকে পড়ে। পরক্ষণেই বুঝতে পারে মোটরসাইকেলটি চোরাই। মোটরসাইকেলের গায়ে লাগানো টিভিএস মোটর সাইকেলের বরিশাল শোরুমের একটি স্টিকারের নম্বরে ফোন দেন রূপসা থানার এএসআই হুমায়ুন। সেই সূত্র ধরে বরিশাল কোতয়ালী থানা পুলিশের সহায়তায় গত বৃহস্পতিবার মোটরসাইকেলটি ফেরত পান শাকিল গাজী। 

শাকিলের হারিয়ে যাওয়া মোটর সাইকেল ফেরত দিতে পেরে আনন্দিত রূপসা থানার ওসি মো. মোশারেফ হোসেনও। তিনি বলেন, ছেলেটি চাকরির সুবিধার জন্য মোটরসাইকেলটি কিনেছিলো। তার হারিয়ে যাওয়া মোটরসাইকেলটি আটক করে ফেরত দিতে পেরে তারাও গর্বিত।  

বরিশাল নগরীর ধোপাবাড়ি এলাকায় বাবা-মা ও অপর দুই ভাইয়ের সাথে থাকেন শাকিল গাজী। তার এবং বড় ভাইয়ের আয়ে চলে তাদের সংসার। ছোট ভাই করেন লেখাপড়া। 

বিডি প্রতিদিন/হিমেল   

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর