পাবনার ভাঁড়ারা ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যানপ্রার্থী ইয়াসিন আলম হত্যা মামলায় বর্তমান চেয়ারম্যান আবু সাঈদ খানসহ তিন আসামিকে জেলহাজতে প্রেরণ করেছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুরে এ হত্যা মামলায় আদালতে তারা উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠান। এরআগে, হাইকোর্টে থেকে জামিন নেন তারা।
আসামি পক্ষের এ্যড: কাজী সাজ্জাদ ইকবাল লিটন জানান, হাই কোর্টের আগাম ৪ সপ্তাহের জামিনে ছিলেন সাঈদ চেয়ারম্যানসহ ৫ জন। পরে তাদের জামিনের মেয়াদ শেষ হলে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে স্বেচ্ছায় হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন তারা। আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান শুনানী শেষে জামিন নামঞ্জুর করে ভাড়ারা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আবু সাঈদ খান, নাদের আলী বিশ্বাস ও সমোকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি ও সরকারি কৌশলী (পিপি) আব্দুসসামাদ রতন বলেন, সোমবার ইয়াছিন হত্যা মামলার এজহার নামীয় ৫ আসামি আদালতে স্বেচ্ছায় হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। আদালত তিনজনকে জেলহাজতে পাঠালেও আলম ও সাচ্চুকে জামিন দেন। এই দুইজনের এজহারে নাম উল্লেখ থাকলেও নিহত ইয়াছিনের গায়ে এদের কর্তৃক আঘাত না করা জনিত কারণে তাদের জামিন দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১১ ডিসেম্বর ভাঁড়ারা ইউনিয়নে নির্বাচনী প্রচারনাকালীন সময়ে কোলাদীচারা বটতলা গ্রামে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ইয়াসিন ও সুলতানের সমর্থকদের সাথে বর্তমান চেয়ারম্যান আবু সাঈদ খানের সংঘর্ষ হয়। এ সময় ওই এলাকায় আবু সাইদের সমর্থকরা বেশ কয়েকটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। এই সংঘর্ষে চেয়ারম্যান প্রার্থী ইয়াছিন আলম মারা যান। পরদিননিহতের পিতা মোজাম্মেল হক ওরফে মোজা খান বাদী হয়ে ৩৪ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরো ৪০/৫০ জনের নামে পাবনা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এরপর পাবনা সদর ইউনিয়ন পরিষদের রিটার্নিংকর্মকর্তা ও সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কায়সার আলম বৈধ চেয়ারম্যান প্রার্থী নিহত হওয়ায় ২০১০ সালের ইউপি নির্বাচনি বিধিমালা অনুসারে ভাঁড়ারা ইউনিয়নে ঐ পদে নির্বাচন স্থগিত করেন।
বিডি-প্রতিদিন/ এ এস টি