উত্তরের হিমালয় কন্যাখ্যাত জেলা পঞ্চগড়ে বইছে মাঝারি শৈত্য প্রবাহ। হিমালয় থেকে বয়ে আসা হিমেল বায়ুর প্রবাহে প্রতিনিয়ত ঠান্ডার তিব্রতা বাড়ছে এই জেলায়। গত কয়েকদিন থেকেই তাপমাত্রার পারদ নামছে নিচের দিকে। রবিবার (৩০ জানুয়ারী) এই জেলায় তাপমাত্রা ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস নির্ণয় করা হয়।
আজ সোমবার এই তাপমাত্রা আরও নিচে নেমে ৬ দশমিক ০ ডিগ্রী সেলসিয়াস নির্ণয় করা হয়। এটি দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। ঠান্ডায় জনজীবন কাহিল হয়ে পড়েছে। সুর্য উঠলেও উষ্ণতা ছড়াতে পারছেনা। এ অবস্থায় নিদারুণ কষ্টে জীবন পার করছে দরিদ্র খেটে খাওয়া মানুষরা।
এই জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে গেছে মহানন্দা নদী। ভারতে উৎপত্তি হয়ে প্রচুর পরিমানে নুড়ি পাথর আর সিলিকন বালি নিয়ে ১৮ কিলোমিটার প্রবাহিত হচ্ছে এই নদী। এই নদীর পাথর বালি সম্পদ ঘিরে জীবন নির্বাহ করছেন প্রায় ৩০ হাজার পাথর শ্রমিক। উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে এই শ্রমিকেরা প্রতিদিন ভোর বেলা তারা নদীর পানিতে নেমে পড়েন। তারপর নদীর পানিতে ডুব দিয়ে উত্তোলন করেন পাথর এবং বালি।
সারাদিন পরিশ্রম করে আয় হতো ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। এই দিয়েই সংসার চলতো তাদের। কিন্তু প্রকট শীতের কারণে মহা সংকটে পড়েছে পাথর শ্রমিকরা। হিমশীতল পানি বরফের মতো ঠান্ডা। নদীতে নেমে বেশিক্ষন কাজ করা যায়না। অনেকে কাজেই যেতে পারছেনা। ঘরে বসেই দিন পার করছেন ।
বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের কাটাপাড়া এলাকার আবেল হোসেন (৫৮) জানান, পানি বরফের মতো ঠান্ডা। হাত রাখা যায়না। আগে কাজ শুরু করতাম ভোর বেলা। কুয়াশা আর শীতের কারণে এখন কাজ শুরু করতে হয় দুপুরে। দিনে পাচ্ছি ৩০০ টাকা ।
এ ব্যাপারে তেঁতুলিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী মাহমুদুর রহমান ডাবলু জানান, প্রচন্ড ঠান্ডায় পাথর শ্রমিকরা কাজে যেতে পারছেনা। তারা সংসার নিয়ে টানা পোড়নে আছেন। আমরা যতটুকু পারি সহযোগিতা করেছি। আরও সহযোগিতা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে তিনি সরকারি বেসরকারি উদ্যোগের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন ।
বিডি-প্রতিদিন/ এ এস টি