নরসিংদীর শিবপুরে গাড়ী ছিনতাই চক্রের সদস্যদের হাতে জোড়া খুনের ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই সময় বিদেশী পিস্তল ও ইয়াবা জব্ধ করা হয়। একই সাথে ছিনতাই হওয়া ৩টি প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে জেলা পুলিশের পেইজে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এসব তথ্য জানানো হয়।
এর আগে বৃস্পতিবার দুপুরে শিবপুরের ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শ্রীফুলিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকার সড়কের পাশ থেকে গাড়ী চালক রুবেল ও জাহাঙ্গীরকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এদিকে গাড়ী ছিনতাইয়ের পর পুলিশের সহায়তা চেয়েছিল ছিনতাইকারীদের হাত থেকে প্রানে বেঁচে আসা শাহাজালাল ও তার নেতারা।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হন রায়পুরা উপজেলার শ্রীনগর এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে সোহেল মিয়া (৩২)।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিভিন্ন সূত্র থেকে পুলিশ নিশ্চিত হয়, পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে বুধবার রাতে রুবেল মিয়া নামে এক যুবক রেন্ট-এ-কারের চালক শাহজালালকে ফোন করে মাধবদীতে একটি ট্রিপ থাকার কথা জানান। পরে রুবেল, শাহজালাল ও জাহাঙ্গীর একত্রিত হন। তারা তিনজন রেন্ট-কারের চালক। তিনজনের সঙ্গে ওই রাতেও প্রাইভেটকার ছিল। মাধবদী না গিয়ে তারা রায়পুরার খলাপাড়া এলাকায় যায়। সেখানেই কৌশলে মূল হোতা সোহেল ও তার সহযোগীরা তিনটি প্রাইভেটকার ছিনতাই করে। এরপর মাদকের অর্থের ভাগ-ভাটোয়ারা নিয়ে তাদের মধ্যে কথাকাটা হয়।
এক পর্যায়ে সোহেল ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা শ্বাসরোধ করে রুবেল ও জাহাঙ্গীরকে হত্যা করে। শাহজালাল ও অন্যরা কৌশলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। জোড়া খুনের পর বৃহস্পতিবার সকালে শ্বশুর বাড়ি গিয়ে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে থাকেন সোহেল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি শ্বশুর বাড়িতে ছিলেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। এসময় তার নিকট থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ৬ রাউন্ড গুলি, ৫২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ উদ্ধার করা হয় তিনটি প্রাাইভেটকারসহ হত্যায় ব্যবহৃত বেশ কিছু আলামত জব্দ করা হয়েছে।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান বলেন, জোড়া খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার সোহেলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবং তার কাছ থেকে বিদেশী পিস্তল, ৫২৫পিস ইয়বা সগ ছিনতাই হওয়া ৩টি গাড়ী উদ্ধার করা হয়েছে। সোহেলের বিরুদ্ধে রায়পুরা ও ঢাকার বাড্ডা থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। সে একজন দুর্ধর্ষ অপরাধী। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ