মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার রোধ কল্পে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ণ শীর্ষক দিসব্যাপী কর্মশালা ফরিদপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল ১০টায় শহরের অম্বিকা হলে এ কর্মশালা শুরু হয়।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, প্রজাতন্ত্রের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বাধ্যতামূলক ড্রোপ টেস্টের আওতায় আনার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
কর্মশালায় মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার রোধকল্পে সামাজিক আন্দোলনের সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় অতিরিক্ত পরিচালক জাফরুল্লাহ কাজল। স্বাগত বক্তব্য দেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ফরিদপুরের উপপরিচালক শামীম হোসেন।
কর্মশালায় মাদকদ্রব্যের বিস্তারে আইনি দুর্বলতার বিষয়টি তুলে ধরেন ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান। তিনি বলেন, মাদক মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর আসামিদের ছাড়িয়ে নিতে আগে থেকেই উকিল ঠিক করা থাকে। এমনও রয়েছে পুরো পরিবারের সকলেই একাধিক মাদক মামলার আসামি। প্রতিদিনই তাদের কোর্টে কারো না কারো হাজিরা থাকে। মাদকাসক্তদের ড্রোপ টেস্টের জায়গাটা সহজ করা দরকার। অনেক সময় প্যাথলজিস্ট পাওয়া যায় না। সময় সংক্ষেপের কারণে তাই অনেক সময় থার্টি ফোরে চালান করতে হয়।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ লিটন আলীর সভাপতিত্বে কর্মশালায় আরো বক্তব্য দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন রায়, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহা, পৌর মেয়র অমিতাভ বোস, সিভিল সার্জন মো. ছিদ্দীকুর রহমান, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ অসীম কুমার সাহা, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল ফয়েজ শাহনেওয়াজ প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/এএম