রংপুর সিটি করপোরেশনের বর্ধিত এলাকাগুলোতে এখন চলছে ধান কাটা মাড়াই মৌসুম। ২৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন ঘিরে তেমন একটা আগ্রহ নেই এসব এলাকার ভোটারদের মাঝে। শুক্রবার বেশকটি এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, অনেকেই ধান কাটামাড়াই নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তারা জানান, দুএকজন ছাড়া অনেক প্রার্থীই এখন পর্যন্ত তাদের কাছে ভোট চাইতে আসেননি। অনেক প্রার্থীর নামও জানেন না তারা। ফলে ভোট নিয়ে তাদের খুব একটা আগ্রহ নেই।
তপোধন ইউনিয়ন ভেঙ্গে ৭,৮,ও ৯ নং ওয়ার্ডে যুক্ত হয়েছে। এই ৩ টি ওয়ার্ডের আয়তন প্রায় ২৮ বর্গ কিলোমিটার। জনসংখ্যা প্রায় ৫৫ হাজার। পার্শ্ববর্তী ১০ নং ওয়ার্ডে নির্বাচনি প্রচারণা থাকলেও ৭ ও ৯ নং ওয়ার্ডে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। সাবেক ইউনিয়ন থাকার সুবাদে এখানকার পরিবেশ এখনো গ্রাম্য আবহ রয়ে গেছে। সিটি করপোরেশনের উন্নয়নের তেমন একটা ছোয়া লাগেনি এইসব এলাকায়। অধিকাংশ মানুষই কৃষিজীবী। বর্তমানে অন্যান্য এলাকাগুলোর মত এখানেও এখন চলছে ধান কাটা মাড়াই ও আলু রোপণের মৌসুম। এখানকার বাসিন্দারা ভোটের চেযে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে ধান কাটা মাড়াই উৎসবের।
৭ ও ৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম, শামসুল হক, বরকত আলীসহসহ অনেক সাথে কথা বলে তারা বলেন, এখানে এখনো নির্বাচনি আমেজ শুরু হয়নি। প্রার্থীরা তেমন একটা আসেননি এই এলাকায়। অধিকাংশ মানুষ কৃষিজীবী হওয়া তারা ধান কাটা মাড়াইতে ব্যস্ত। নির্বাচনে কাকে ভোট দিবেন এখন পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি তারা। তারা জানান, পয়লা অগ্রহায়ন থেকে তাদের অনেকে বাড়িতে নবান্ন পালন করা শুরু হয়েছে। আত্মীয় স্বজন বন্ধু বান্ধবকে নিমন্ত্রণ করা হয়েছে। এভাবেই এখানকার কৃষকরা নবান্নের মাধ্যমে আমন ফসল ঘরে তুলছে। ফলে তাদের মাথায় এখন ভোটের বিষয়টি নেই।
শ্রমজীবী রফিকুল, আলম মিয়া জানান, প্রতিদিন সকালে তারা কাজের সন্ধানে বের হয়ে যান। এখন পর্যন্ত কোন প্রার্থী তাদের কাছে এসে ভোট চাননি। তাই এখনো তাদের মাঝে ভোটের চিন্তা ঢুকেনি।
তফসিল অনুযায়ী রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২৭ ডিসেম্বর। মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন ২৯ নভেম্বর। ১ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই এবং ৮ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ। প্রতীক বরাদ্দ পরের দিন ৯ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দের পর প্রার্থীরা ১৭ দিন প্রচার-প্রচারণার সুযোগ পাবেন।
বিডি প্রতিদিন/এএ