বগুড়ার আদমদীঘির ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ট্রাক ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফার ( ৫০) পথরোধ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা। এসময় তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় তারা। পরে তাকে গুরুতর অবস্থায় টহল পুলিশ উদ্ধার করে আদমদীঘি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান।
গত বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় সান্তাহার-বগুড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের কলাবাগান (বকুলতলা) নামক স্থানে ঘটনাটি ঘটে। আহত আওয়ামী লীগ নেতা আদমদীঘির শিবপুর গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে।
আদমদীঘি হাসপাতালে ভর্তি আহত ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে তার পশ্চিম ঢাকারোডে গ্যারেজে যান। সেখানে কাজ শেষে প্রতি রাতের মত রাত ৩টায় মোটরসাইকেলযোগে নিজ বাড়ি আদমদীঘির শিবপুর গ্রামে ফিরছিলেন। রাত সাড়ে ৩টায় সে সান্তাহারের নিকট কলাবাগান বকুলতলা নামক স্থানে পৌঁছালে ৭/৮ জনের একদল দুর্বৃত্ত পথরোধ করে হাত বেঁধে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথাসহ শরীরে বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। এরপর গোলাম মোস্তফা মারা গেছে ভেবে ফেলে রেখে মোটরসাইকেল, মোবাইল ফোন ও ১১ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে টহল পুলিশের এএসআই আব্দুল মজিদ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান। এর আড়াই মাস পূর্বে ২৯ আগষ্ট আহত গোলাম মোস্তফার ভাতিজা ওয়েলডিং মিস্ত্রি মাহবুল আলমকে ছাতিয়ানগ্রাম সড়কে দুর্বৃত্তরা একই কায়দায় পথরোধ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ স্বজনদের।
আহত গোলাম মোস্তাফার ভাই গোলাম মোর্তুজা জানান, তার ছেলে ওয়েলডিং মিস্ত্রি মাহবুল আলম হত্যা ঘটনায় আদালতে দায়েরকৃত মামলার তদারকি করতেন তার ভাই আহত গোলাম মোস্তফা। সে কারণে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে গোলাম মোস্তফাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার উপর এই হামলা করে হত্যার চেষ্টা করা হয়।
আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউর করিম রেজা জানান, মামলা দায়ের হলে বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল