সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে আওয়ামী লীগের সম্মেলনে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের নবগঠিত কমিটির সভাপতি, সাবেক সভাপতি, সম্পাদকসহ ৭৭ জনকে আসামি করে দ্রুত বিচার আইনে আরো একটি মামলা হয়েছে।
আজ রবিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে সুনামগঞ্জ দ্রুত বিচার আদালতে মামলাটি দায়ের করেন উলজেলার চন্ডিপুর গ্রামের মশাহিদ মিয়ার ছেলে ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা যুতিমা মিয়া।
আদালতের বিচারক মৈত্রী ভট্টাচার্য আদেশে লিখেন, নালিশে বর্ণিত বিষয়ে এফআইআর গণ্যে রজু করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করা হল। আগামী ১ ডিসেম্বর এফআইআর সংক্রান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের জন্য ওসিকে নির্দেশ দেন আদালত।
মামলার আসামিরা হলেন দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের নবগঠিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায়, সাবেক সভাপতি আলতাব উদ্দিন, বর্তমান সভাপতি কামাল মিয়া, পৌর মেয়র বিশ্বজিৎ রায়, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা জিয়াউর রহমান লিটন, মুজিবুর রহমান প্রমুখ।
এদিকে, এর আগে একই ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও দিরাই পৌরসভার সাবেক মেয়র মোশাররফ মিয়াসহ ৮১ জনকে আসামি করে দ্রুত বিচার আইনে আরো একটি মামলা হয়েছে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী এমরান খান মামলা দায়ের ও আদালতের আদেশের বিষয়টি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে দিরাই উপজেলা সদরের বিএডিসি মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে মঞ্চে উঠা মোশাররফ মিয়া ও প্রদীপ রায়ের সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে ঢিলের আঘাতে একজন নিহত ও উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হন। এসময় মঞ্চে উপস্থিত আওয়ামী সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদসহ অন্য অতিথিরা প্লস্টিকের চেয়ারকে ঢাল বানিয়ে নেতাকর্মীদের ছুড়া ঢিল থেকে নিজেদের রক্ষার চেষ্টা করেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল